Sunday, August 14, 2011

মেশিন

এক ব্যাবসায়ী তার কারখানায় নতুন মেশিন এনেছে। মেশিনে নাকি একদিক দিয়ে শুয়োর ঢুকাইলে আরেক দিক দিয়ে জুস বের হয়।ওই ব্যবসায়ীর ছেলে বাপরে খালি ধরা খাওয়াইন্না প্রশ্ন করে।
পোলা বলল, “আব্বু,এমন কোন মেশিন নাই যে জুস ঢুকাইলে শুয়োর বাইর হয়।
বাপ রেগে গিয়ে বলে, “আছে না!! তোর মা”

Monday, August 8, 2011

সুন্দরী এক কল গার্লের সেবা

পঞ্চাশোর্ধ এক ব্যবসায়ী সুন্দরী এক কল গার্লের সেবা গ্রহণ করলেন এবং তাকে নগদ টাকা না দিয়ে তার অফিসে একটি বিল পাঠাতে বললেন। বিলতো আর গৃহিত সেবার নামে করা যাবে না তাই ব্যবসায়ী গার্লকে পরামর্শ দিলেন তুমি এমন একটা বিল আমার অফিসে পাঠাবে যেন আমি তোমার কাছ থেকে একটি এ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নিয়েছিলাম।
যথারীতি গার্ল পরের সপ্তাহে ব্যবসায়ীর অফিসে একটি বিল পাঠালেন।
এ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া বাবদ ৫০০০ টাকা ।
ব্যবসায়ী সভাব সুলভ কারনে সেই বিলও কাটলেন ২৫০০ হাজার টাকা কেটে বাকী আড়াই হাজার টাকা পাঠালেন গার্ল এর কাছে। বিল কাটার কারন হিসেবে তিনি লিখলেন :
১) আমি ভেবেছিলাম এ্যাপার্টমেন্টটি (??) একদম নতুন আগে কেউ ব্যবহার করেনি, কিন্তু ভাড়া নেয়ার পর দেখলাম এটি আগেও ভাড়া হয়েছে।
২) ভাড়া নেবার সময় আমি ভেবেছিলাম এ্যাপার্টমেন্টটি (??) অনেক ছোট এবং সুন্দর, কিন্তু ভাড়া নেবার পর দেখলাম অনেকে এই এ্যাপার্টমেন্ট ব্যবহার করায় এর আকার অনেক বড়। এত বড় এ্যাপার্টমেন্ট আমার পছন্দ নয়।
৩) ভাড়া নেবার সময় আমি ভেবেছিলাম এ্যাপার্টমেন্টটি (??) অনেক গরম হবে ,
কিন্তু ভাড়া নেবার পর দেখলাম এটি একেবারেই ঠান্ডা ।
কলগার্ল ব্যবসায়ীর এই কারন সহ অর্ধেক পেমেন্ট পেয়ে রেগে গেলেন এবং আড়াই হাজার টাকা ফেরত পাঠিয়ে দিয়ে পুরো ৫০০০ টাকা দেবার অনুরোধ করলেন এবং ব্যবসায়ীর কারন গুলোর বিপরীতে লিখলেন:
১) তুমি কি করে ভাবলে এত সুন্দর এ্যাপার্টমেন্টটি (??) ভাড়া না হয়ে এতদিন পরে থাকবে?
২) এ্যাপার্টমেন্টটি (??) আসলে সুন্দর এবং ছোটই ছিল, কিন্তু তোমার যদি এই এ্যাপার্টমেন্টটি (??) ভর্তি করার মত ফার্নিচার (??) না থাকে তাহলে আমার কি করার আছে?
৩) এ্যাপার্টমেন্টটিতে (??) আসলে অনেক গরমই ছিল কিন্তু তুমিতো জানই না এটা কি ভাবে অন করতে হয়।
তাই আমার পুরো পাওনা ৫০০০ টাকাই দিতে হবে।

এক ফরাসী, এক ইতালীয় আর এক বাঙালি

এক ফরাসী, এক ইতালীয় আর এক বাঙালি ট্রেনে বসে নিজেদের বিবাহিত জীবন নিয়ে গল্প করছে।

ফরাসী বলছে, ‘গত রাতে আমার বউকে চারবার আদরসোহাগ করেছি। সকালে সে আমাকে চমৎকার নাস্তা বানিয়ে খাইয়েছে, আর বলেছে, আমার মতো পুরুষ সে আগে কখনো দেখেনি।’

ইতালীয় বলছে, ‘গত রাতে আমার বউকে ছয়বার আদরসোহাগ করেছি। সকালে সে আমাকে চমৎকার নাস্তা বানিয়ে খাইয়েছে, আর বলেছে, আমার মতো পুরুষ সে আগে কখনো দেখেনি।’

বাঙালি চুপ করে আছে দেখে ফরাসী তাকে প্রশ্ন করলো, ‘তা তুমি গত রাতে তোমার বউকে ক’বার আদরসোহাগ করেছো?

বাঙালি বললো, ‘একবার।’

ইতালীয় মুচকি হেসে বললো, ‘তোমার বউ সকালে তোমাকে কী বললো?’

‘ওগো, থামো, আর না …।’

ছেলেঃ বাবা

ছেলেঃ বাবা, বড়ভাইয়া তো দরজা খুলছে না!
বাবাঃ খুলবে খুলবে, কাল রাতে তোমার ভাইয়ার বাসর রাত ছিল তো, ক্লান্ত তাই এখনও দরজা খুলছে না।
ছেলেঃ ঠিক আছে বাবা, কিন্তু রাতে ভাই আমার কাছে কোল্ড ক্রিম চাইলে আমি তো ভুলে ফেবিকল দিয়েছি। সেই জন্য চিন্তা করছি!!!!

বাবাজি পয়সা

একদা এক সাধু পাড়ায় গেল, কাজ সমাধা হলে, সাধু চলে যাওয়ার আয়োজন করতেই নটি বলল,” বাবাজি পয়সা!”
“ছি! ছি! তোমার কাছ থেকে পয়সা নিতে পারি, পাগলি!” সাধুর উত্তর।

কলগার্ল

কলগার্ল খদ্দেরের সাথে অকাজ(সু) করার সময় হঠাৎ গ্যাস ব্যোম ঝাড়ল! হাসি মুখে খদ্দেরকে বলল, যখন সামনের গর্ত আনন্দ পাই, তখন পেছনের গর্ত জোরে হেসে ফেলে!!!!

বাসর রাতে

বাসর রাতে বউয়ের সাথে সহবাসের সময় বউ ব্যাথায় চিৎকার করে ওঠলো।স্বামী বেচারা বলল, “ ১০ পর্যন্ত গুনতে থাকো,ব্যাথা না কমলে বাদ দিব”
স্ত্রী: “১,২,.......৩,৪,৫......৬,৭,৮,........৯,,৯,৮,৭,৬,৫,৪,৩,২,১.......২,৩,৪.....”

বিছানায় এক রাউন্ড প্রেম পর্বের পর

বিছানায় এক রাউন্ড প্রেম পর্বের পর সদ্য কুমারিত্ব বিসর্জনকারিনী প্রেমিকা চিন্তা করছে, “ ঢুকলো ৭ ইঞ্চি,বেরুলো ৩ ইঞ্চি,বাকী ৪ ইঞ্চি কি ভিতরেই থেকে গেল???”

স্বামী স্ত্রী

বউ: “ বইয়ে পড়েছি একটি পুরুষ কুকুর সারা বছর কমপক্ষে ৩০০ বার সেক্স করে,আর তুমি ১০০ বারও করো না” (গররররর)
স্বামী: “একই কুকুর একই মেয়ে কুকুরের সাথে ৩০০ বার করে এইডা কোন বইয়ে লেখা আছে?”

গির্জায় ধর্মোপদেশের মাঝখানে

রবিবার গির্জায় ধর্মোপদেশের মাঝখানে এক লোক হঠাৎ লাফ দিয়ে উঠে দ্রুত বাইরে চলে গেল। লোকটার এই আচরণে অন্যরা অবাক হল । পর দিন পাদ্রী যখন এর কারণ জানতে চাইলেন তখন সে বলল, এক সপ্তা আগে আমার ছাতাটা হারিয়ে ফেলেছিলাম । আপনি কাল যখন বলেন, ‘তোমরা ব্যভিচার করিও না ’ তখন আমার মনে পড়ল ওটা আমি কেথায় ফেলে এসেছি ।

ছেলের প্রশ্ন,

“বাবা,আমি কিভাবে জন্মেছি?”ছেলের প্রশ্ন,
বাবা, “ তোমার আম্মা আর আমি ইয়াহুতে পরিচিত হয়েছি।আমরা ই-মেইলের মাধ্যমে ডাটা ট্রান্সফার করি।এরপর সাইবার ক্যাফেতে দেখা করি।তোমার আম্মা ওখানে আমার হার্ড ডিস্ক স্লটে ঢুকাতে বলে,যে মুহুর্তে আমি আপলোড করবো ঠিক তখনই মনে পড়লো আমাদের কারো ফায়ার ওয়াল ইন্সটল করা নাই,ততক্ষনে ডিলিট চাপার সময়ও শেষ। ৯ মাস পর একটা পপ আপ আসে,ওটা তুমি”

স্বামী স্ত্রী 2

বাসর রাতে স্বামী বউয়ের চোখে বারবার চুমু দিচ্ছে
বউ বলল, “ বারবার চোখে চুমু দিচ্ছ কেন?”
স্বাম , “ তোমার চোখ হলো আমার কাছে ভালোবাসার বই,শুধু পাঠ করতে মন চায়”
বউ , “ নিচে লাইব্রেরীতে আগুন জ্বলছে,আর তুমি বই নিয়ে ব্যস্ত”!!!!

স্বামী স্ত্রী

স্বামী(বাসর রাতে)- তুমি কি কখনো সেক্স মুভি দেখেছো ?
স্ত্রী - একবার দেখেছি
স্বামী - এখন আমরা তাই করব,যা ঐ মুভিতে হয়েছে।
স্ত্রী(চিন্তা করে)- তাইলে বাকী দুজন কই থেকে আনবে।

কলগার্লের সাথে সেক্স করার পর

কলগার্লের সাথে সেক্স করার পর-
ছেলে, “সেক্স করলে দুজনেই মজা পায়, তাহলে ছেলেই কেন টাকা দিবে” কাঁদতে কাঁদতে চোখের পানি নাই হৈয়া গেলো
কলগার্ল, “ গাধা,তুমি জানো না- আউট গোয়িঙ্গের উপরই বিল হয়,ইনকামিং ফ্রী’!!!

২ পুরুষের পতিতালয় থেকে ফিরে এসে আলাপচারিত-

২ পুরুষের পতিতালয় থেকে ফিরে এসে আলাপচারিত-
১ম জনঃ আমার বউই ভালো।
২য় জনঃ ঠিক বলেছো,তোমার বউ আরো ভালো।

মল্লিকা শেরাওয়াতের

মল্লিকা শেরাওয়াতের মৃত্যুর পর কবরে কি লেখা হবে ??
উত্তর-হায় কপাল !! প্রথমবার একা শুয়ে পড়তে হলো!!!!

সুইচটা অফ করে দিয়ে এল

(ঘুম জড়িত কন্ঠে) হ্যালো…
: কিরে, কতবার ফোন করলাম ফোন ধরছিস না কেন?
: ও না কাল রাতে খুব ডিস্টার্ব করছিল। আমি খুব রেগে ওকে বলে দিলাম- তোমার মুখদর্শন করতে চাই না…
: ও তখন কী করল ?
: কী আর করবে, আস্তে আস্তে উঠে ঘরের লাইটের সুইচটা অফ করে দিয়ে এল…

দাদুভাই

দাদুভাই গেছে একটা ভায়েগ্রা কিনতে। দোকানদার বলল, “ দাদু একটা কেন আরও নেন”
দাদুভাই, “ আমার এতটুকু খাড়া করতে হবে ,যাতে পেশাব করতে গেলে স্যান্ডেলে না পড়ে"

আছরাফুল আছিলো

এক সুন্দরী মহিলা গেসে পুলিশরে অভিযোগ করতে: ছার, আমার ইজ্জ্বত লুইট্যা লইসে এক বজ্জাত, লম্পট ক্রিকেটার।
পুলিশ জিগায়: কেমনে বুঝলেন ক্রিকেটার?
মহিলা: ওই লুকের হাতে গলাভস, মাথায় হেলমেট আর পায়ে প্যাড আছিলো। আর আমার মুনে হ্য় বাংলাদেশী ব্যাটসম্যান আছরাফুল আছিলো।
পুলিশ জিগায়: কেমনে বুঝলেন ওইডা আছরাফুল?
মহিলা: আরে বেশীক্ষণ টিকে নাই তো। শুরুর লগেই শ্যাষ।

একজন বিখ্যাত আরব শেখের সাথে

একজন বিখ্যাত আরব শেখের সাথে আছরাফুলের দেখা হইসে। ওই শেখ আবার ৮৩টা বিয়া করসে। আছরাফুল কয়: আপনে হুজুর ৮৩টা বিয়া করসেন, আমি হালায় একটাও করতে পারতেসিনা তয় আপনে মাগার কইলাম আর ২টা বিয়া করলে আপনের বল বদলাইতে হইবো। //

এক ক্রিকেট পাগল

এক ক্রিকেট পাগল তার অফিসে একটা বোর্ড লাগিয়েছে OUT-L.B.W। বাইরে থাকলে OUT আর অফিসে থাকলে L.B.W। একদিন তার এক বন্ধু বললো: আচ্ছা OUT মানে বাইরে বুঝলাম কিন্তু L.B.W দিয়ে কি বুঝাতে চেয়েছিস ঠিক বুঝলাম না।
- আরে বুঝলি না। L.B.W মানে "Let the Bastards Wait."। কারণ আমার কাছে পাওনাদার বেশী আসে।

ড্যান্সিং মুরশেদ, ভালা ক্রিকেট খেলত

ড্যান্সিং মুরশেদ, ভালা ক্রিকেট খেলত। বেচারা সারা সপ্তাহে অফিসের চাপে না পাইরা প্রতি শুক্রবার যাইতো প্র্যাকটিস করতে। কিন্তু প্রতি শুক্রবার আবার এইডা তার বউয়ের সহ্য হইতো না। একদিন তাই গোস্বা কইরা কইলো: তুমি যদি এই শুক্কুরবার খেইলতে যাও তাইলে কইলাম আমি গলাত দড়ি দিমু।
ড্যান্সিং মুরশেদ কইলো: আর মিছা স্বপ্ন দেখাইয়াও না বউ।
বউয়ে কইলো: আমার গলাত দড়ি দিমু তুমারে কে কইসে। আমি তো তুমার কথা কইতাসিলাম।

এক আমেরিকান ইংল্যান্ডে গেসে ক্রিকেট খেলা দেখতে

এক আমেরিকান ইংল্যান্ডে গেসে ক্রিকেট খেলা দেখতে। পরত্তম ওভারে ব্যাটসম্যান ছয় বলে চাইর রান করসে। এরপর আম্পায়ার কইলো ওভার। আমেরিকান খুশী হইয়া কইলো: আরে কি আজিব, শুরু হইলো আর শেষ হইলো। এই খেলা আমার হেভ্ভী পছন্দ হইসে।

দেইখ্যা ফালাইসিলো

"তুমারে এইরকম মনমরা লাগতাসে ক্যান? কি হইসে?"
- ডাক্তার কইসে আমি আর কুনুদিনও ক্রিকেট খেলতে পারুম না।
- হায় আল্লাহ, ওই হালায় মুনে হয় তরে খেলতে দেইখ্যা ফালাইসিলো।

হালায় ওইহানেও মিসাইবো

শহিদ ভায়া ক্রিকেট খেলতো জেম.সেন.হল একাদশে। তয় শুধু প্লেয়ার শর্ট থাকলে তারে নামানো হইতো। দেখা গেসে প্রায় প্রতি ম্যাচে কারো না কারো প্রবলেম থাকে আর শহিদ ভায়া চান্স পায়। কিন্তু প্রতি ম্যাচে ক্যাচ মিস করে। একদিন এক খেলায় শহিদ ভায়া চাইরডা ক্যাচ মিসাইসে যার কারণে জিতা খেলা হাইরা গেসে। খেলা শেষে দুলাল মিয়া কইলো: আইজকাই তুই আমার লগে আমাগো মুরগীর র্ফামে যাইবি।
শহিদ ভায়া কয়: ক্যান? ওই মুরগীর ঘরে গিয়া আমি কি করুম?
দুলাল মিয়া: আরে হালায় জীবনে তো কাউরে কইতে পারবি তুই এই জীবনে কিসু ধইরতে পারসিলি।
টিম ক্যাপটেন টুটুন চেইত্যা কয়: বাজী রাইক্খ্যা কইতারি, হালায় ওইহানেও মিসাইবো।

বাবু আছিলো বড়ই ঘাড় ত্যাড়া খেলোয়াড়

বাবু আছিলো বড়ই ঘাড় ত্যাড়া খেলোয়াড়। একবার এক খেলায় আম্পায়ার তার তিন/চাইরডা আপিলে আউট দেয় নাই। তহন বাবু আম্পায়াররে কয়: স্যার চিনতা করনের লাইগ্যা কি কুনু শাস্তি হইবো?
আম্পায়ার কয়: না কুনু শাস্তি নাই।
বাবু কয়: কিন্তু আমি যে চিন্তা করাতসি আপনে একডা বুকচুদ তাইলে কি আমার শাস্তি হইবো?

গাজী মামা

গাজী মামা আবার ক্রিকেট লইয়া বেশী ছিরিয়াস। একদিন মামীরে বহুত কষ্ট কইরা হাতে ঠ্যাংয়ে ধইরা রাজী করাইসে মাঠে গিয়া খেলা দেখনের লাইগ্যা। মামী গেসে, বহুত কষ্ট কইরা পয়লা ইনিংস পার করসে। পরের ইনিংসে এক ব্যাটসম্যান এমন জোরে ছক্কা মারসে বল গেসে মাঠের বাইরে। মামী তহন চিল্লাইয়া কয়: হায় বলডা দেহি হারাই গেলো; যাউগ্গা খেলা দেহনের কাম নাই চল বাড়িত লই।

ঈভা রহমানের গান

এক ট্রাইনেশান প্রোগ্রামে ঈভা রহমানের গান চলতাসিলো। বেশী বোরিং লাগায় জয়সুরিয়া, শেওবাগ আর আছড়াফুলের বউ গল্প শুরু করসে। শেওবাগের বউয়ের আবার জামাইর মতো মুখ পাতলা। সে জয়সুরিয়ার বউরে কইলো: আপনের হাসব্যান্ড তো বুইড়া হইয়া গেসে, তার গায়ে কি কুনু শক্তি আছে?

জয়সুরিয়ার বউয়ের প্রেসটিজে লাগসে তার হাসব্যান্ডরে বুইড়া কইসে। সে উত্তর দিলো: ওহে মুখরা রমণী, ভুইল্যা যাইয়োনা, সে কিন্তু অলরাউরান্ডার ব্যাটে (!) না পারলে ঠিকই বলে(!) পুষাইয়া দেয়।

শেওবাগের বউ কয়: আমার হাসব্যান্ড কিন্তু হার্ডহিটার। তার স্ট্রোকগুলান (!)..... আহ হা হা হা বলার মতো না।

আছড়াফুলের বউ চিন্তা করতাসে, এইরে খাইসে। আমার জামাইতো এর কোনোটাই না, আমি কি কই? বড়ই শরমের কতা। সে এট্টু চিন্তা কইরা গলা খাকরি দিয়া কইলো: আমার হাসব্যান্ডও কিন্তু কম না। সেই কুটিকালে সেন্চুরী মারসে। এখন বুঝেন, তার বিচি কখন পাঁকসে।

আছড়াফুল বিয়া করসে

আছড়াফুল বিয়া করসে এবং তার চাইরডা পুলা-মাইয়া হইসে। তার বউ কিন্তু তারে লইয়া বড়ই পেরেশান। প্রতি খেলায় ১ রান লইয়া আউট হইয়া যায়। একবার এক খেলায় পরত্তম বলে আউট হইয়া গেসিলো। কিন্তু আম্পায়ারের আউট না দেয়ার লাইফ পাইয়াও এক রান লইয়া ক্লিয়ার বোল্ড হইয়া যায়। পাড়া প্রতিবেশীর খোঁটা শুইন্যা আছড়াফুলের বউয়ের মিজাজ বিলা। আছড়াফুল ঘরে আসনের লগে লগে শুরু কইরা দিসে বাউন্সার: তুমি এই এক মারা ছাড়া আর কিসু পারো না?
আছড়াফুল কয়: শুধুই যদি ১ মারতাম তাইলে চাইরডা পুলা-মাইয়া কেমনে হইলো?
আছড়াফুলের বউ: তুমার ওই আম্পায়ারের মতো লোটা কামাল যদি আমারে না হেলপাইতো তাইলে ডাক (০) লইয়া থাকতে হইতো।

প্রথমে যা ধরার কথা ভেবেছিলেন সেটাই ধরেছি

আমাদের ভাবনা গুলো আমাদের সাথে তামাশা করে। আমাদের ভাবনার শুরুটাই হয় অসততা দিয়ে-তাই নিজেকেই প্রতারিত করি, কিন্তু যখন সদ ভাবনা থাকে-তখন অন্যরা আমাদের সাথে প্রতারণা করে। দেখুনঃ

এক অনুষ্ঠানে এক জোকার এসেছে লোক হাসানোর জন্য। সে তার প্যান্টের পকেটে হাত ঢুকিয়ে সবাইকে জিজ্ঞেস করল, বলেন তো আমি কি ধরেছি?
সবার মাঝে ছি ছি পড়ে গেল।
জোকার তখন পকেট থেকে একটা কলম বের করে দেখালো, আপনাদের ধারণা ঠিক না। আমি এই কলম ধরে ছিলাম।
তারপর সে আবার পকেটে হাত ঢুকালো। বলল, বলেন তো এইবারে আমি কি ধরেছি?
একেক জন একেক কথা বলা শুরু করল। কেউ বলল মানিব্যাগ, কেউ চাবি, কেউ মোবাইল।
জোকার তার খালি হাত পকেট থেকে বের করল। বলল, হয় নি। এবারে আপনারা প্রথমে যা ধরার কথা ভেবেছিলেন সেটাই ধরেছি।

লিংগটা অক্ষত আছে

অতি উৎসাহের কারনে আমাদের জীবনে অনেক সময়ই অশান্তি নেমে আসে। মাত্রাজ্ঞান না থাকার কারনে ব্লগেও অনেকে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন। যেমন দেখুনঃ
অফিস থেকে ফেরার সময় রেললাইনের পাশে অনেক লোকের জটলা দেখে উকি দেন, সাব্বির ভাই। দেখেন ট্রেনের নীচে পড়ে একটি লোক মারা গেছে এবং তার চেহারা ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে। চেনাই যাচ্ছেনা। কেবল ১১ ইঞ্চি লম্বা পুরুষাংটি একদম অক্ষত আছে। সবাই বলছে এটা দিয়েতো আর লোক চেনা যাবেনা।
সাব্বির ভাই মন খারাপ করে বাসায় ফিরে বউকে বলেছেন, জানো একটা এক্সিডেন্ট দেখলাম ঐ নাখালপাড়া রেললাইনের ওখানে।
ভাবী বললো কি হয়েছে, কিভাবে হয়েছে? সাব্বির ভাই বললো, দুঘটনার শিকার লোকটিকে কেউ চিনতেই পারছেনা, সব ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে। কিন্তু লোকটির ১১ ইঞ্চি লিংগটা অক্ষত আছে। এই কথা শুনা মাত্র, ভাবী চিৎকার করে বললো, হায় আল্লাহ ! পরশ মারা গেছে?

কানে ধরে বাসা থেকে বের করে দেবো

ঘটনার সবটুকু না জেনেই আমরা অনেকেই সিদ্ধান্ত নিই, সমাধান দিয়ে ফেলি। এতে অনেকেই আহত হয়, ক্ষতিগ্রস্থ হয়। একই সাথে আমাদের নিজেদেরকেও আমরা বোকা প্রমান করি। এতে করে আমাদের সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট হয়। তাই সবটা আগে জেনে নেয়াটাই উচিত। দেখনুঃ

মিস্টার অ্যান্ড মিসেস চৌধুরী পার্টিতে গেলেন, বাসা সামলানোর দায়িত্ব দিয়ে গেলেন কাজের ছেলে জুম্মনকে। পার্টিতে ঘন্টাখানেক কাটিয়ে বিরক্ত হয়ে মিসেস চৌধুরী ফিরে এলেন, মিস্টার চৌধুরী রয়ে গেলেন সামাজিকতার খাতিরে।
বাসায় ফিরে এসে মিসেস চৌধুরী জুম্মনকে খুঁজে পেলেন ডাইনিং রুমে। তিনি খানিকক্ষণ উসখুস করে জুম্মনকে ডেকে নিয়ে গেলেন নিজের বেডরুমে।
‘জুম্মন, আমার শাড়িটা খোল।’ হুকুম করলেন তিনি।
জুম্মন কোন কথা না বলে হুকুম তামিল করলো।
‘এবার আমার ব্লাউজ আর ব্রা খোল।’ বললেন মিসেস চৌধুরী।
জুম্মন সেটাও পালন করলো।
এবার মিসেস চৌধুরী নিচু গলায় বললেন, ‘আমার পেটিকোটটা খোল জুম্মন।’
জুম্মন খুললো।
মিসেস চৌধুরী জুম্মনের চোখে চোখ রেখে বললেন, ‘আর কোনদিন যদি দেখি আমার জামাকাপড় গায়ে দিয়ে বসে আছিস, কানে ধরে বাসা থেকে বের করে দেবো।’

বাবা আর টিনা আন্টি

সংসারে অনেক ঘটনাই ঘটে যেখানে ছোটদের না টেনে আনাই ভালো। তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে। নিজেদের মান সম্মানও ভেসে যেতে পারে। দেখুনঃ
শপিং সেরে বাড়ি ফিরতেই ছোট্ট বাবু তার মাকে বললো, “মা মা, আজ কী হয়েছে শোনো, আমি আজ স্কুলে না গিয়ে পালিয়ে তোমার আলমারিতে লুকিয়ে খেলছিলাম, এমন সময় বাবা আর পাশের ফ্ল্যাটের টিনা আন্টি এসে রুমে ঢুকলো। তারা দু’জন সব জামাকাপড় খুলে ফেললো, তারপর বাবা টিনা আন্টির ওপর চড়ে বসলো...............।”
এটুকু শুনেই বাবুর মা তাকে থামিয়ে দিলেন। মুখখানা গম্ভীর করে বললেন, “ব্যস, আর একটা শব্দ না। এবার বাবা ফিরলে তুমি যা যা দেখেছো, তা আবার ঠিক ঠিক বলবে, কেমন?”
বাবুর বাবা বাড়ি ফিরতেই বাবুর মা মুখ ঝামটা দিলেন। “তোমার মতো একটা লম্পটের সাথে আমি আর সংসার করবো না।”
বাবুর বাবা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বললেন, “কেন, কি হয়েছে?”
তখন বাবুর মা বললেন, “বল্ বাবু, কী দেখেছিস গুছিয়ে বল।”
বাবু বললো, “আমি তোমার আলমারিতে লুকিয়ে খেলছিলাম, এমন সময় বাবা আর পাশের ফ্ল্যাটের টিনা আন্টি এসে ঢকলো। তারা দু’জন সব জামাকাপড় খুলে ফেললো, তারপর বাবা টিনা আন্টির ওপর চড়ে বসলো, তারপর তুমি আর আক্কাস আঙ্কেল গত পরশু দিন দুপুরে যা করেছিলে, বাবা আর টিনা আন্টি তা-ই করতে লাগলো ................।

পৃথিবীতে কত রকম সাংঘাতিক ঘটনাই ঘটে।

পৃথিবীতে কত রকম সাংঘাতিক ঘটনাই ঘটে। কিন্তু কোনটিই আমাদের নিজ জীবনের চাইতে কি সাংঘাতিক হতে পারে? না, হতে পারেনা। তাহলে বলা যায় আরও সাংঘাতিক হতে পারতো যদি আমার/আপনার জীবনের উপর দিয়ে যেতো। এমনি এক লোক রাকিব সাহেব, তাকে বলা হলো টুইন টাওয়ারের ঘটনা ও এতগুলো মৃত্যু। সে বলে, এর চাইতেও সাংঘাতিক হতে পারতো। সব সময়ই যেকোন দুঘটনার কথা বললেই সে শুধু বলে, এর চেয়েও সাংঘাতিক হতে পারতো। তো দেখুনঃ

চায়ের দোকানে আড্ডা হচ্ছে। এক লোক বললেন, ঘটনা শুনেছেন। গত রাতে আমাদের এলাকার মজনু সাহেব বাড়িতে ফিরে দেখেন, তার স্ত্রী তার এক বন্ধুর সঙ্গে শুয়ে আছেন। তিনি রাগ দমাতে না পেরে সঙ্গে সঙ্গে রিভলবার বের করে গুলি করে দু’জনকেই মেরে নিজেও আত্মহত্যা করলেন।
পাশে বসে থাকা রাকিব সাহেব বললেন, এটা তো তেমন কিছুই নয়, ঘটনা আরো সাংঘাতিক হতে পারত।
লোকটি বললেন, কি বলেন? এক সাথে ট্রিপল ট্রাজেডি, আর আপনি বলছেন কিছুই না, আরো সাংঘাতিক হতে পারত? তো এর চেয়ে আর কি সাংঘাতিক হতে পারত?
রাকিব সাহেবঃ গতকাল যদি সোমবার না হয়ে বৃহস্পতিবার হতো তাহলে ঐ গুলিটা আমাকে খেয়েই মরতে হতো।

আমি নিচে কিছু পড়িনা

সব সম্পর্ক সব সময় প্রীতিকর নাও হতে পারে। যেকোন সম্পর্কের ক্ষেত্রেই একটু ভাবনা থাকা উচিত। নৈতিক বা অনৈতিক যেকোন সম্পর্ক পাত্র-পাত্রীর কারণে বিব্রতকর হতে পারে। দেখুনঃ
আরশাদ আর বিদিশা একত্রে সংসার ধর্মো চালাইতেছেন। তাদের সংসার খুবই আনন্দের মধ্যেই চলছে। এমনি একদিনের ঘটনা।
বিদিশা বাইরে যাইবেন, কিন্তু তার শখের লাল প্যান্টিখান পাইতেছেন না। স্বাভাবিকভাবেই দোষ পড়লো বুয়ার উপর। তাকে চার্জ করা হইলো। আরশাদের বুয়া বলিয়া কথা। সে ক্ষিপ্ত হইয়া আরশাদের কাছে ফরমাইলো “সাহেব ! বিবিসাব কয় আমি নাকি হের প্যান্টি চুরি করছি ! সাহেব আপনি তো জানেন, আমি নিচে কিছু পড়িনা ।

আজ সকাল থেকে দেখতে পাচ্ছি

এতটা নিশ্চিত হওয়ার আগে নিশ্চিত হউন আপনার ধারণার বাইরেও ঘটনা ঘটতে পারে। তারপরও আমরা প্রতিনিয়ত ভুল করছি, তর্ক করছি। তর্কে যেহেতু কেউ হারেনা, তাই সেখানে কেউ জিতেও না। মাঝখান থেকে আমাদের সম্পর্ক গুলো নষ্ট হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ে। অতি নিশ্চয়তা আমাদের কেমন বিব্রত করতে পারে দেখুনঃ

রাজধানীতে দুপুরে বাসায় কেউ নেই। এক ভদ্র মহিলা কাপড় চোপড় খুলে গোসল করছেন। এমন সময় বাসার কলিং বেল বাজল। মহিলা ভাবলো, এমন দুপুর বেলায় কারও আসার কথা নয়। নিশ্চয় ফকির এসেছে। শরীর ভিজিয়েছি আবার কাপড় পড়বো? আচ্ছা কাপড় ছাড়াই লুকিং গ্লাস দিয়ে দেখি কে? যদি ফকির হয় তাহলে ভিতর থেকেই না করে দিবো ভিক্ষা দেওয়া যাবেনা। মহিলা দরজার ফুটা দিয়ে দেখেন, ফকির নয়, এসেছে পাশের বাসার অন্ধ ছেলে রাজু। মহিলা ভাবলেন, কাপড় গায়ে নেই, অন্ধ রাজুর সাথে দরজা খুলে কথা বললেও সমস্যা কি? ও তো আর দেখবেনা আমি ল্যাংটা। দরজা খুলে-
মহিলাঃ কি ব্যাপার রাজু তুমি এই দুপুর বেলায়, আবার তোমার হাতে মিষ্টিও দেখছি?
অন্ধ রাজুঃ জী খালাম্মা, এই মিষ্টিগুলো রাখেন, আম্মা পাঠিয়েছে।
মহিলাঃ কি কারনে মিষ্টি রাজু?
অন্ধ রাজুঃ খালাম্মা আমি আজ সকাল থেকে দেখতে পাচ্ছি।

৭ দিন পর ঠিক হয়ে যাবে

১ম জনঃ ভাবি আমার মনটা খুব খারাপ, কারন আমার বরটা ইদানিং বেশি রাত করে বাড়ি ফেরে , আর আমার দিকে ফিরেও তাকায় না কি যে করি?
২য় জনঃ চিন্তা করবেন না ভাবি এক সাপ্তাহ পর ঠিক হয়ে যাবে।
১ম জনঃ আপনি কি গনক নাকি? যে বললেন ৭ দিন পর ঠিক হয়ে যাবে?
২য় জনঃ আরে ভাবি আমার বর ৭ দিন পর বিদেশ থেকে ফিরে আসবে তখন আর আপনার বরের দরকার হবে না ।

ঠিক রাত ৯টায়

সখিনা-তোমার স্বামী প্রতিদিনই দেখি ঠিক ৯টার সময় বাসায় ফেরে। আমার স্বামী তো পারলে বাসায়ই ফেরে না। কিন্তু তোমার স্বামী আসে, রহস্য কি?
জরিনা- আমি বাসায় সাধারণ একটা নিয়ম করে দিয়েছি। তাকে বলেছি যে সেক্স হবে ঠিক রাত ৯টায়, তুমি তখন বাসায় থাকো আর নাই বা থাকো।

এক পোস্টমাস্টার গেছে দাওয়াত খাইতে

এক পোস্টমাস্টার গেছে দাওয়াত খাইতে, কিন্তু ভুলে বেচারা প্যান্টের চেইন লাগায় নাই
পার্টিতে এক লোকের তা দেইখা তো আক্কেল গুড়ুম। সরাসরি তো আর বলা যায়না যে চেইন খোলা। তাই সে কায়দা কইরা বলল, ভাই, আপনার পোস্টঅফিস তো খোলা।
কিন্তু পোস্টমাস্টার ইংগিতটা বুঝলো না, সে কয়- না না , পোস্টঅফিসে আমি নিজের হাতে তালা মাইরা আইছি। খোলা না, বন্ধই আছে।
তো ঐ লোক যতই বোঝায়, পোস্টমাস্টার বুঝে না, কয় বন্ধ, বন্ধ, নিশ্চয়ই বন্ধ।
তো লোকটা হাল ছাইড়া দিয়া চইলা গেলো। পরে পোস্টমাস্টার বাসায় ফিরা দেখে তার চেইন খোলা। সাথে সাথে সে সব বুঝলো, বুইঝা তো পাইলো ব্যাপক শরম। কিছুক্ষণ ঝিম মাইরা থাইকা ফোন করলো ঐ লোকটারে।
ফোন কইরা কয়- ভাই, এইবার আমি বুঝছি আপনি কি বুঝাইতে চাইছিলেন। তা ভাই যখন খোলা আছিলো, তখন কি পোস্টমাস্টার ভিতরে ছিলো নাকি বাইরে?

স্বামী-স্ত্রী

নীল আলোর নিচে বিছানায় বেশ রোমান্টিক পরিবেশে শুয়ে আছেন স্বামী-স্ত্রী।
হঠাৎ স্ত্রী বললেনঃ প্রিয়, তুমি কি ঘুমাচ্ছ?
রোমান্টিক স্বরে স্বামী বললেনঃ না, প্রিয়তমা।
স্বামীর মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে স্ত্রী বললেন, তুমি কি তা চাইছ?
-হ্যাঁ, প্রিয়তমা।
-তাহলে ঘুমাও।

দুই নান

দুই নান গেছে কাঁচাবাজারে সব্জি কিনতে। ঘুরে ঘুরে এটা দেখে সেটা শুঁকে কিছুতেই পছন্দের সাইজের মুলা কিনতে পারলো না তারা। শেষমেশ তারা শসাঅলার কাছ থেকে দুটো শসা কিনলো।
শসাঅলা একগাল হেসে বললো, “নেন সিস্টার, এই যে আরেকটা। আজকে আমার ইস্পিশাল বিক্রি, দুইটা কিনলে একটা ফ্রি।”
এক নান অন্যজনের দিকে ফিরে বললো, “বাহ্, মন্দ কী? চল, তিন নম্বরটা খাওয়া যাবে।”

প্রথম দিন ডেট

প্রথম দিন ডেট সেরে বান্ধবীকে রাতের বেলা বাড়ি পৌঁছে দিতে এসেছে বাবু। দরজার পাশে দেয়ালে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে বললো সে, ‘সোনা, একটা চুমো খেতে দাও আমাকে।’
‘কী? তুমি পাগল হলে? এখানে দাঁড়িয়ে, না না না!’
‘আরে কেউ দেখবে না। এসো, একটা চুমো।’
‘না না, খুব ঝামেলা হবে কেউ দেখে ফেললে।’
‘আরে জলদি করে খাবো, কে দেখবে?’
‘না না, কক্ষণো এভাবে আমি চুমো খেতে পারবো না।’
‘আরে এসো তো, আমি জানি তুমিও চাইছো — খামোকা এমন করে না লক্ষ্মী!’
এমন সময় দরজা খুলে গেলো, বান্ধবীর ছোট বোন ঘুম ঘুম চোখে দাঁড়িয়ে। চোখ ডলতে ডলতে সে বললো, ‘আপু, বাবা বলেছে, হয় তুমি চুমো খাও, নয়তো আমি চুমো খাই, নয়তো বাবা নিজেই নিচে নেমে এসে লোকটাকে চুমো খাবে — কিন্তু তোমার বন্ধু যাতে আল্লার ওয়াস্তে ইন্টারকম থেকে হাতটা সরায়।’

এক ট্রাফিক মহিলা

একলোক এক ট্রাফিক মহিলাকে বিয়ে করল। বাসর রাতের পরদিন ট্রাফিক মহিলা ১০০০ টাকা জরিমানা করল এভাবে
- ওভার স্পীড ৩০০
- হেলমেট না পরা ৩০০
- রং ওয়ে এট্রি ৪০০

নব্বই বছরের বুড়ো রিয়াদ সাহেব

নব্বই বছরের বুড়ো রিয়াদ সাহেব পুরনো শহরের নদীর পাড় ধরে হাঁটছেন আর বিড়বিড় করছেন।
“নদীর ওপর এই ব্রিজ — যখন আমার বয়স ছিলো ২৫, এই ব্রিজের অ্যাসিস্ট্যান্ট এনজিনিয়ার ছিলাম আমি। কিন্তু এখানে কেউ আমাকে তার জন্যে ব্রিজ নির্মাতা বলে না, না, তারা কেউ তোমাকে তা বলবে না!
— ঐ টাওয়ারের ওপর মেয়রের অফিস, সেটা বানানোর সময় এগজিকিউটিভ এনজিনিয়ার ছিলাম আমি, তখন আমার বয়স ৩০ — কিন্তু আমাকে কেউ টাওয়ার নির্মাতা বলে না, না, তারা কেউ তোমাকে তা বলবে না!
— ঐ যে দূরে টাউন হল, সেটা আমার ডিজাইন করা, তখন আমার বয়স ৩৫ — কিন্তু আমাকে কেউ টাউন হল নির্মাতা বলে না, না, তারা কেউ তোমাকে তা বলবে না!
কিন্তু শুধু যদি একবার কোন ছাগলের ইজ্জতের ওপর হামলা করো —’

প্রফেসর শেষ ক্লাসে

প্রফেসর শেষ ক্লাসে ঘোষণা করলেন, ‘পরশু পরীক্ষা। কেউ কোনও অজুহাত দিয়ে পার পাবেন না। তবে নিকটাত্মীয়ের মৃত্যু কিংবা মারাত্মক শারীরিক অসুস্থতা হলে ভিন্ন কথা। ‘
পেছন থেকে এক ফাজিল ছোকরা বললো, ‘মাত্রাতিরিক্ত সেক্সজনিত ক্লান্তি হলে কি চলবে স্যার?’
ক্লাসে হাসির হুল্লোড় পড়ে গেলো। শব্দ থামার পর প্রফেসর বললেন, ‘উহুঁ, সেক্ষেত্রে তুমি অন্য হাতে লিখবে।’

রেলগাড়ির কামরায় উঠল এক বাংলাদেশি

রেলগাড়ির কামরায় উঠল এক বাংলাদেশি। তার সঙ্গে বিশাল বোঝা। বোঝাটা ওঠানোর দরকার ওপরের তাকে।

কিন্তু তার গায়ে জোর কম, সে কিছুতেই নিজের ঘাড়ের ওপর বোঝাটা তুলতে পারছে না।
এগিয়ে এল এক পাকিস্তানি। বোঝাটা এক ঝটকায় তুলে দিল তাকের ওপর।
তারপর বাংলাদেশিকে বলল, ‘রুটি খাও, গায়ে জোর হবে।’
বাংলাদেশি খানিক পর রেলগাড়ির চেইন টানার চেষ্টা করতে লাগল।
কিন্তু তার ভাবখানা এমন, কিছুতেই সে চেইন টেনে জুত করতে পারছে না।
তার সাহায্যে এগিয়ে এল পাকিস্তানিটি। চলন্ত ট্রেনের চেইনটা টেনে দিল সে এবং আবারও বলল, ‘রুটি খাও, গায়ে বল হবে।’
ততক্ষণে রেলপুলিশ এসে হাজির। ‘কে চেইন টেনেছে? দাও, ২০০ টাকা জরিমানা।’
বেচারা পাকিস্তানি অর্থদণ্ড দিতে বাধ্য হলো। তখন বাংলাদেশি বলল,
‘ভাত খাও, বুদ্ধি হবে।

পুরানো জিনিসের দোকানে

এক লোক একটি পুরানো জিনিসের দোকানে (এন্টিক শপ) গিয়েছে কিছু কিনতে। একটা পাথরের মূর্তি তার নজরে পড়ল যেখানে একজন যোদ্ধা একটা ঘোড়ার উপর বসে আছে। কিন্তু মূর্তিটা অনেক পুরানো, তাই এর অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। হাতের তলোয়ারটা আধা ভাঙ্গা, যোদ্ধার নাকটা পর্যন্ত কিছুটা ভেঙ্গে গেছে। মাথায় পড়া হেলমেটের অবস্থাও খারাপ। মূর্তির উপর এক জায়গায় খোদাই করে লেখা "বিজয়ী" ।

তাই দেখে লোকটা আতকে উঠে বলল, "হায় হায়! এই যদি হয় বিজয়ীর অবস্থা তাহলে পরাজয়ীর অবস্থা না জানি কি‌?"

রাজাঃ মন্ত্রী

রাজাঃ ধরো, আমি যদি স্থান পরিবর্তন করি। তুমি বসবে আমার ওই সিংহাসনে আর আমি বসব তোমার জায়গায়।

মন্ত্রীঃ না মহারাজ, সেটা সম্ভব নয়।
রাজাঃ কেন? তোমার কি রাজা সাজতে লজ্জা হয়?
মন্ত্রীঃ না, রাজা হতে লজ্জা হবে না, কিন্তু লজ্জা পাব আপনার মতো একটা নির্বোধকে আমার মন্ত্রী হতে দেখে!

হোটেলের সাইনবোর্ড

এক লোক হোটেলের সাইনবোর্ড দেখে খুব খুশি হয়ে ইচ্ছেমতো খেলেন।

ওয়েটারঃ স্যার, আপনার বিল ৫০০ টাকা।
লোকটাঃ কী বলছেন ভাই? আমার বিল? কিন্তু আপনাদের সাইনবোর্ডে যে লেখা, ‘আপনি যা খাবেন আপনার নাতি তা শোধ করবে।’
ওয়েটারঃ সেটা না হয় না দিন। কিন্তু এই ৫০০ টাকা দিন। এটা আপনার নানা খেয়ে গেছেন।

মা : ছেলে

ছোট ছেলে দৌড়ে বাসায় গিয়ে তার মাকে বলল, মা- আজ কী ঈদ?
মা :- কেন আজ ঈদ হবে?

ছোট ছেলেটি :- তাহলে আব্বু আর ছোট খালা যে ছাদে কোলাকুলি করছে??

তেলের দোকানে

তেলের দোকানে ইনকামটেক্সর লোক রেইড দিতে পারে এমন আশংকায় এক তেল ব্যবসায়ী তার কর্মচারীকে ডেকে বলল– ৩০ টিন তেল মাটির নীচে লুকিয়ে রাখতে ।
২ ঘন্টা পরে কর্মচারী এসে তেল ব্যবসায়ীকে বলল, স্যার ! ৩০ টিন তেল তো মাটির নীচে লুকিয়ে ফলেছি, এখন তেলের খালি টিনগুলো কোথায় রাখবো!!!!!

রেজার কেনা

এক লোক দোকান থেকে রেজার কিনে বাসায় গিয়ে সেভ করতে গিয়ে দেখে রেজারটা ভাল কাজ করছে না।


লোকটা দোকানদারের কাছে গিয়ে অভিযোগ করলো- ভাই আপনি আমাকে কী একটা রেজার দিলেন যা ভাল নয়, এইটা দিয়ে তো দাড়ি/গোফ কাটা যায় না।

দোকানদারঃ আপনি কী বলছেন ভাই, আপনাকে রেজারটা দেওয়ার আগে আমি ৩ বার দাড়ি সেভ করে দেখেছি ‘এটা তো চমৎকার কাজ করে।‘ আর এখন আপনি বলছেন রেজারটা ভাল নয়, এটা কি বিশ্বাস করা যায় না!

শিক্ষকঃ ছাত্র

শিক্ষকঃ এই ছেলে, তুমি কখন থেকে ঘুমাচ্ছো?
ছাত্রঃ স্যার, সুলতানী আমল থেকে।
শিক্ষকঃ আমার সঙ্গে ফাইজলামি!
ছাত্রঃ না সত্যি! আপনি যখন সুলতানী আমল পড়াচ্ছিলেন তখন থেকেই।

শিক্ষকঃ ছাত্

শিক্ষকঃ রফিক এবারো কিন্তু কাসে ফার্স্ট হওয়া চাই।
রফিকঃ দোয়া করবেন স্যার, আরেকটা কথা, প্রশ্নপত্র বাবার প্রেসেই দিচ্ছেন তো স্যার এবারো?
শিক্ষকঃ সে কি! তোমার বাবা তোমাকে প্রশ্ন পত্র দেখান নাকি?
রফিকঃ না না স্যার, তবে বাবার চোখের সমস্যার কারনে প্রুফটা দেখে দেই কিনা!

এক লোক একটি পুরানো জিনিসের দোকানে

এক লোক একটি পুরানো জিনিসের দোকানে (এন্টিক শপ) গিয়েছে কিছু কিনতে। একটা পাথরের মূর্তি তার নজরে পড়ল যেখানে একজন যোদ্ধা একটা ঘোড়ার উপর বসে আছে। কিন্তু মূর্তিটা অনেক পুরানো, তাই এর অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। হাতের তলোয়ারটা আধা ভাঙ্গা, যোদ্ধার নাকটা পর্যন্ত কিছুটা ভেঙ্গে গেছে। মাথায় পড়া হেলমেটের অবস্থাও খারাপ। মূর্তির উপর এক জায়গায় খোদায় করে লেখা ‘বিজয়ী‘ ।
তাই দেখে লোকটা আতকে উঠলো, হায় হায়, এই যদি হয় বিজয়ীর অবস্থা তাহলে পরাজয়ীর না জানি কি অবস্থা!

এক গরিব লোকের ঘরে চোর

এক গরিব লোকের ঘরে চোর এসে আতিপাতি করে খুঁজে, নিয়ে যাওয়ার মতো কিছুই পেল না। হতাশ হয়ে চোর যখন চলে যাচ্ছে-
লোক : (শুয়ে শুয়ে) দরজাটা বন্ধ করে যেও।
চোর : (দীর্ঘশ্বাস ফেলে) দরজা খোলা থাকলেও সমস্যা নেই। আপনার ঘরে কেউ ঢুকবে না।

রেলওয়েতে চাকরির ইন্টারভিউ হচ্ছে

রেলওয়েতে চাকরির ইন্টারভিউ হচ্ছে। একটি চটপটে ছেলেকে সবার পছন্দ হল। চেয়ারম্যান একটু বাজিয়ে নিতে চাইলেন।

:ধর একটা দ্রুতগামী ট্রেন আসছে। হঠাৎ দেখলে লাইন ভাঙা। ট্রেনটা থামানো দরকার। তখন তুমি কি করবে?
: লাল নিশান ওড়াবো।
: যদি রাত হয়?
: লাল আলো দেখাবো।
: লাল আলো যদি না থাকে?
: তাহলে আমার ছোট বোনকে ডাকবো।
: বোনকে কেন ডাকবে? বোন এসে কি করবে?
: কিছু করবে না। ওর অনেক দিনের শখ একটা ট্রেন অ্যাক্সিডেন্ট দেখার।

এক গাঁয়ের এক চোর

এক গাঁয়ের এক চোর একটা সাইকেল চুরি করে বাজারে নিয়ে গেল বিক্রি করতে। এক টাউট লোক এসে সাইকেলটা দরদাম করল কিছুক্ষণ।

তারপর ‘দেখি তোমার সাইকেলটা কেমন চলে’ বলে সাইকেলে চড়ে প্যাডেল মেরে একেবারে হাওয়া।
শুকনো মুখে বাড়ি ফিরছিল চোর। গাঁয়ের যারা তাকে সাইকেল বিক্রি করতে নিয়ে যেতে দেখেছিল তারা জানতে চাইল, কি, সাইকেল বিক্রি করে কত লাভ হলো?
চোর বলল, লাভ হয়নি; যে দরে কিনেছিলাম সেই দরেই বেচেছি।

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাক্ বিতন্ডা

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাক্ বিতন্ডা হওয়ার পর এক বন্ধু এসেছে আরেক বন্ধুর কাছে।

প্রথম বন্ধুঃ দোস্ত বড্ড একটা ঝালেমার মধ্যে আছি।
দ্বিতীয় বন্ধুঃ কেন দোস্ত, তোর আবার কি হলো? মাত্র কয়দিন আগেই তো বিয়ে করলি। এর মধ্যে আবার কি ঝামেলা হলো?
প্রথম বন্ধুঃ সারাদিন অফিস করে বাসায় ফেরা মাত্রই সে এসে শুধু টাকা টাকা করে। প্রত্যেকটা দিনই এক অবস্থা। আর পারি না দোস্ত।
দ্বিতীয় বন্ধুঃ তা তোর বউ এত টাকা দিয়ে করেটা কি?
প্রথম বন্ধুঃ সে কি করে, কেমনে বলবো? আমি কি ওকে কখনও টাকা দিয়েছি নাকি?

রেলগাড়ির কামরায় উঠল এক বাংলাদেশি

রেলগাড়ির কামরায় উঠল এক বাংলাদেশি। তার সঙ্গে বিশাল বোঝা। বোঝাটা ওঠানোর দরকার ওপরের তাকে।

কিন্তু তার গায়ে জোর কম, সে কিছুতেই নিজের ঘাড়ের ওপর বোঝাটা তুলতে পারছে না।
এগিয়ে এল এক পাকিস্তানি। বোঝাটা এক ঝটকায় তুলে দিল তাকের ওপর।
তারপর বাংলাদেশিকে বলল, ‘রুটি খাও, গায়ে জোর হবে।’
বাংলাদেশি খানিক পর রেলগাড়ির চেইন টানার চেষ্টা করতে লাগল।
কিন্তু তার ভাবখানা এমন, কিছুতেই সে চেইন টেনে জুত করতে পারছে না।
তার সাহায্যে এগিয়ে এল পাকিস্তানিটি। চলন্ত ট্রেনের চেইনটা টেনে দিল সে এবং আবারও বলল, ‘রুটি খাও, গায়ে বল হবে।’
ততক্ষণে রেলপুলিশ এসে হাজির। ‘কে চেইন টেনেছে? দাও, ২০০ টাকা জরিমানা।’
বেচারা পাকিস্তানি অর্থদণ্ড দিতে বাধ্য হলো। তখন বাংলাদেশি বলল,
‘ভাত খাও, বুদ্ধি হবে।

বিমান চলছে

বিমান চলছে। হঠাৎ করে হুড়মুড় করে এক পেসেঞ্জার প্লেনের চালকের ঘরে ঢুকে পড়লো। চালকতো অবাক। চালককে আরোও অবাক করে দিয়ে লোকটা চালকের হেডফোনটাকে ছিনিয়ে নিল।

তারপর লোকটা বলল, "হারামজাদা! টাকা দেব আমরা আর তুমি এইখানে বইসা কানে হেডফোন লাগাইয়া গান শুনবা না?

ডেন্টিষ্ট

ডেন্টিষ্ট: অত চেঁচাবেন না, আমি আপনার দাঁতে এখনো হাতই দেই নি।
রোগী : কিন্তু আপনি আমার পায়ের উপর দাঁড়িয়ে আছেন।

চায়ের দোকানে আড্ডা হচ্ছে

.চায়ের দোকানে আড্ডা হচ্ছে। এক লোক বললেন, ঘটনা শুনেছেন। গত রাতে আমাদের এলাকার মজনু সাহেব বাড়িতে ফিরে দেখেন, তার স্ত্রী তার এক বন্ধুর সঙ্গে শুয়ে আছেন। তিনি রাগ দমাতে না পেরে সঙ্গে সঙ্গে রিভলবার বের করে গুলি করে দু’জনকেই মেরে নিজেও আত্মহত্যা করলেন।
পাশে বসে থাকা রাকিব সাহেব বললেন, এটা তো তেমন কিছুই নয়, ঘটনা আরো সাংঘাতিক হতে পারত।
লোকটি বললেন, কি বলেন? এক সাথে ট্রিপল ট্রাজেডি, আর আপনি বলছেন কিছুই না, আরো সাংঘাতিক হতে পারত? তো এর চেয়ে আর কি সাংঘাতিক হতে পারত?
রাকিব সাহেবঃ গতকাল যদি সোমবার না হয়ে বৃহস্পতিবার হতো তাহলে ঐ গুলিটা আমাকে খেয়েই মরতে হতো।

এক পাগল রোগী

এক পাগল রোগী এসেছেন চিকিৎসকের কাছে—
চিকিৎসক: কী সমস্যা আপনার, বলুন?
রোগী: স্যার, আমার সব সময় মনে হয়, আমি একটা মুরগি।
চিকিৎসক: বলেন কী। তা কবে থেকে এমনটা মনে হয় আপনার?
রোগী: যখন আমি একটি ডিম ছিলাম, ঠিক তখন থেকেই, স্যার।

এক হাতিকে ভুলিয়ে-ভালিয়ে

এক হাতিকে ভুলিয়ে-ভালিয়ে এক ঘরে এনে ঢোকাল দুই পিঁপড়ে।
‘তোমার পায়ের নিচে চাপা পড়ে কত পিঁপড়ে মারা গেছে, তুমি তা জানো?’ এক পিঁপড়ে বলল হাতিকে। ‘আজ তুমি সাজা পাবে। আমরা তোমাকে খেয়ে ফেলব।’
হাতি নির্বিকার। পিঁপড়েটি তখন অন্য পিঁপড়েকে বলল, ‘তুমি ওকে পাহারা দাও, আমি অন্য পিঁপড়েদের ডেকে আনি। দেখো, হাতি যেন না পালায়।’
কিছুক্ষণ বাদে ফিরে এসে সে দেখল, হাতি নেই।
‘হাতি কোথায়?’ চিৎকার করে জানতে চাইল সে।
‘চলে গেছে’, জানাল দ্বিতীয় পিঁপড়ে। ‘আমি চেষ্টা করেও আটকাতে পারিনি।’
‘মিথ্যে কথা বোলো না! আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি, তুমি এখনো ওর মাংস চিবাচ্ছ।

বউ কানে শুনতে পায়না.

এক লোক খুব ই চিন্তিত এই ভেবে যে তার বউ কানে শুনতে পায়না...

তো ,সে গেল ডাক্তার এর কাছে।।বউ কে নিয়ে গেল না।।
ডাক্তার তার সব কথা শুনে বলল,"আচ্ছা বলেন তো,আপনার স্ত্রী ঠিক কত দূর থেকে আপনার কথা শুনতে পায়?"
"তা তো খেয়াল করিনি"
"আচ্ছা।বাসায় যান,একটা পরীক্ষা করুন যে তিনি ঠিক কতটুকু দূর থাকে আপনার কথা শুনতে পায়,তাহলে আমি ভাল ভাবে বুঝতে পারব"

তো,লোকটা বাসায় গেল। দেখল তার বউ রান্না ঘর এ তার দিকে পিছন ফিরে রান্না করছে...
সে শুরু করে দিল পরীক্ষা।।
দূর থেকে বললঃ "বউ,কি রান্না কর?"
কোন জবাব নাই
আরেকটু কাছে গিয়ে আবার বললঃ"বউ,কি রান্না কর?"
তবুও জবাব নাই।।
তখন সে রান্না ঘরের দরজার সামনে গিয়ে বলল""বউ,কি রান্না কর?"
তবুও জবাব নাই।।সে ত চিন্তায় পরে গেল!!!!আমার বউ এর কানে তো খুব ই সমস্যা!!!

তখন সে একেবারে তার বউ এর পিছনে গিয়ে বলল""বউ,কি রান্না কর?"

তখন সে জবাব শুনতে পেল...।।
শুনে সে খুব ই আশ্চর্য্য !!
একি!!!!!

বউ এর জবাব ছিলঃ "চার বার বললাম খিচুরি রান্না করি,আপনার কি কানে যায়না???

আরব শেখ

একজন বিখ্যাত আরব শেখের সাথে আছরাফুলের দেখা হইসে। ওই শেখ আবার ৮৩টা বিয়া করসে। আছরাফুল কয়: আপনে হুজুর ৮৩টা বিয়া করসেন, আমি হালায় একটাও করতে পারতেসিনা তয় আপনে মাগার কইলাম আর ২টা বিয়া করলে আপনের বল বদলাইতে হইবো

ছোট বেলায় পড়ছি …

ছোট বেলায় পড়ছি …

ক তে কলা
খ তে খই
গ তে গরু
ঘ তে ঘোড়া

এই সব

দিন পালটাইছে এইটা এখন দাড়াইছে এই রকম

ক তে কাকা
খ তে খুড়িমার সাথে
গ তে গভীর রাতে
ঘ তে ঘুমাইতে গিয়া
ঙঙঙঙঙঙঙঙঙঙঙঙঙঙঙঙঙঙঙঙ

জরুরি আইনে ঘুষ খাওয়া নিষেধ

সেইরাতে এরাম থেকে বের হয়ে র‌্যাবের হাতে পড়েনি কৌশিক আর শরৎ। তাদের ধরেছে টহল পুলিশ। কৌশিক ১০০টাকা গুঁজে দিয়ে পার পেতে চেয়েছিল। পারেনি। জরুরি আইনে ঘুষ খাওয়া নিষেধ।

শরৎ থাকায় লাভ হয়েছে। ও খুব সুন্দর করে কথা বলে। পুলিশ তাই পেটালো না। জেলে পাঠানোর জন্য কোর্টে চালান দিল। শরৎ জজ সাহেবকেও পটিয়ে ফেলল। দুজনকে উনি একটা সুযোগ দিলেন। বললেন, ভদ্রঘরের ছেলেপুলে আপনারা। আমার মায়া হচ্ছে। তাই জেলে না পাঠিয়ে একটা সুযোগ দিচ্ছি। আজ এরামে আবার যাবেন। আপনাদের কাজ হবে মানুষকে মদ না খেতে উদ্বুদ্ধ করা। কাল আসবেন আবার।

পরদিন দুজন কোর্টে গেল। জজ সাহেব শরৎকে জিজ্ঞেস করলেন- ক্যামনে কি? শরৎ বলল, আমি কালকে ১০ জনকে চিরদিনের জন্য মদ খাওয়া ছাড়তে প্রেরণা জুগিয়েছি। উৎসুক বিচারক বললেন, কিভাবে? শরৎ বলল কাগজ আর কলম দেন। দেওয়া হলো। শরৎ বলল, দুটো বৃত্ত একেছি এরকম। একটা ছোট একটা বড়। বলেছি, এই বড় বৃত্তটা মদ খাওয়ার আগে মানুষের মগজ যেমন থাকে। আর ছোটটা হচ্ছে মদের নেশায় চুর হওয়া মানুষের। ওরা আমার কথায় নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছে।

জজ খুবই খুশী। এবার কৌশিকের পালা। সে বলল, মাননীয় আদালত আমি তো দুশো জনকে মদ খাওয়া ছাড়িয়েছি। জজ চেয়ার থেকে ছিটকে পড়েন আর কি!! কিভাবে। কৌশিক বলে ওই একই ভাবে বৃত্ত একে। জজ বলে- ক্যামনে কি? কৌশিক বলল, আমি বৃত্ত দুটো দেখালাম। আর সবচেয়ে ছোট বৃত্তটা দেখিয়ে বললাম এটা জেলে ঢোকার আগে গুহ্যদ্বারের ছবি..

এক সুন্দরী মহিলা

এক সুন্দরী মহিলা গেসে পুলিশরে অভিযোগ করতে: ছার, আমার ইজ্জ্বত লুইট্যা লইসে এক বজ্জাত, লম্পট ক্রিকেটার।
পুলিশ জিগায়: কেমনে বুঝলেন ক্রিকেটার?
মহিলা: ওই লুকের হাতে গলাভস, মাথায় হেলমেট আর পায়ে প্যাড আছিলো। আর আমার মুনে হ্য় বাংলাদেশী ব্যাটসম্যান আছরাফুল আছিলো।
পুলিশ জিগায়: কেমনে বুঝলেন ওইডা আছরাফুল?
মহিলা: আরে বেশীক্ষণ টিকে নাই তো। শুরুর লগেই শ্যাষ।

ইংরেজি ‘ফাক’ (fuck) শব্দের বহুবিধ ব্যবহার

সম্ভবত ইংরেজি অভিধানের সবচেয়ে বর্ণীল এবং বিনোদনদায়ক শব্দ হল এই ‘ফাক’ (fuck)। F অক্ষর দিয়ে ইংরেজি ভাষায় এতগুলো শব্দ আছে, তবু যখন বলা হয় ‘the F… word’ তখন কিমতু এই ফাক (fuck) শব্দটিকেই বোঝানো হয়। এই পোস্ট লিখার উদ্দেশ্য এই শব্দটির ব্যবহার কতটা চমকপ্রদ হতে পারে, আপনাদের তা দেখানো। যাদের এই জাতীয় শব্দের প্রতি চরম এলার্জি তারা না পড়লেই ভাল। এই শব্দটি দিয়ে শুধু কিন্তু যৌনতা বোঝায় না। উচ্চারণের বিভিন্নতার দ্বারা এই একটি শব্দের মাধ্যমে ব্যথা, বেদনা, আনন্দ, ভালবাসা, ঘৃণা সবই প্রকাশ করা যায়।
অন্যান্য অনেক ইংরেজি শব্দের মত এই (fuck) শব্দটিও জার্মান ভাষা থেকে আগত। জার্মান শব্দটি হল (frichen) যার অর্থ আঘাত করা। ইংরেজি ভাষায় (fuck) শব্দটি ব্যকরণের অনেক ক্যাটাগরিতে পড়তে পারে। ক্রিয়াপদের ক্ষেত্রেই ধরুন, এটিকে transitive হিসেবেও ব্যবহার করা যায় আবার intransitive হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। transitive এর ক্ষেত্রে ধরুন, sohel fucked farzana. আবার intransitive এর ক্ষেত্রে sohel is fucked (সোহেলের সর্বনাশ হয়ে গেছে)। এটা বিশেষণ হিসেবেও ব্যবহৃত হতে পারে। rana is doing all the fucking job. (সব বাজে কাজগুলো রানাই করছে)। adverb হিসেবেও এটা ব্যবহার করা হয়। ক্রিয়ার বিশেষণের ক্ষেত্রে, nasrin talkes fucking too much. (নাসরিন খুব বেশি কথা বলে) আবার বিশেষণের বিষেষণ হিসেবে, katrina is fucking beautiful. (ক্যাটরিনা তো চরম সুন্দরী)। বিশেষ্য হিসেবে ব্যবহার করা যায়। যেমন, I dont give fuck what you say. (আপনি কি বলেন তাতে আমি থোরাই কেয়ার করি)। conjunction হিসেবেও এটি ব্যবহৃত হয়, Prova is easy, fuck she's also stupid. (প্রভা এমনিতে সরল, কিন্তু সে একইসাথে বোকাও)। interjection হিসেবেও ব্যবহৃত হয়, Fuck! I'm late for my date with prova. (ধুর, আমি আবার প্রভার লগে ডেটিংএ লেট হইয়া গেছি)। অনেক সময় কোন শব্দের মাঝে এটিকে বসিয়েও আরেকটি শব্দ তৈরি করা যায়। যেমন, absofucklutely, অথবা fuckincredible.
এবার দেখা যাক, এই fuck শব্দটি দ্বারা কত রকমের ভাব প্রকাশ করা যায়।
অভ্যর্থনাঃ "How the fuck are ya?" (কিরে কেমন আছিস?)
প্রতারণাঃ "I got fucked by the car dealer." (আমি গাড়ি বিক্রেতার দ্বারা প্রতারিত হয়েছি)
বিপদঃ "I guess I'm fucked now." (মনে হয় আমার বারটা বাইজা গেছে)
হুমকিঃ "FUCK YOU!" (খাইছি তোরে)
নেতিবাচক সন্দেহঃ "What the fuck . . .?" (কি সব. . . ?)
জটিলতাঃ "I don't understand this fucking question!" (এত প্যাঁচওয়ালা প্রশ্ন বুঝবার পারি না)
নৈরাশ্যঃ "Fucked again..." (আবার সর্বনাশ)
আনন্দঃ "I couldn't be fucking happier." (আমি এর চেয়ে খুশি হতে পারতাম না)
নিরানন্দঃ "What the fuck is going on here?" (কি হইতেছে এই সব?)
হারিয়ে যাওয়াঃ "Where the fuck we are." (কই আসলাম আমরা)
অবিশ্বাসঃ "FUCKING UNBELIEVABLE!" (পুরোপুরি অবিশ্বাস্য)
অস্বীকারঃ "I didn't fucking do it." (আমি এটা করি নি)
উদাসীনঃ "Who really gives a fuck?" (কে আছে কেয়ার নেয়ার মত)
জিজ্ঞাসাঃ "Who the fuck are you?" (তুমি আবার কে?)
আক্রমণাত্মক নির্দেশনাঃ "Fuck off." (এটার অর্থ আপনারাই বের করে নিন)
ইতিহাসের অনেক বিখ্যাত ব্যাক্তিও এই শব্দটি বিভিন্ন সময় তাদের কথায় ব্যবহার করেছেন। তার কয়েকটির নমুনা আমি এখানে তুলে দিচ্ছি। বলে রাখা ভাল এই উক্তিগুলো তারা কবে, কোথায় করেছেন তার সবগুলো আমার জানা নাই। এগুলো কতটুকু সত্য সেটা নিয়ে আমারও সন্দেহ আছে। কারন এই তথ্যগুলো আমি পেয়েছি একটি বিশেষ কৌতুকের সফটওয়্যার থেকে।
"What the fuck was that?" – হিরোশিমার মেয়র
"Where the fuck is all this water coming from?" – টাইটানিকের ক্যাপ্টেন
"Who's gonna fucking find out?" – রিচার্ড নিক্সন
"Let the fucking woman drive." – স্পেস শাটলের জনৈক কমান্ডার
"Any fucking idiot could understand that." – আইনস্টাইন
"It does so fucking look like her!" – পাবলো পিকাসো
"How the fuck did you work that out?" – পিথাগোরাস
The evidences of evolution in this world are so much available that anyone can easily understand. But if some still don’t understand they may fuck off. – রিচার্ড ডকিন্স
"You want what on the fucking ceiling?" – মিশেল অ্যান্জেলো
"Fuck a duck." – ওয়াল্ট ডিজনি
"Why?- Because its fucking there!" – এডমন্ড হিলারি
"I need this parade like I need a fucking hole in my head." – জন এফ কেনেডি
ইংরেজি ভাষায় shit এবং fuck দুটি শব্দই অসংলগ্নতার দিক থেকে সমভাবে বিবেচিত। কিন্তু আমাদের দেশে অনেকেই কথায় কথায় যখন oh shit বলে ওঠে তখন কেউ মাইন্ড করে না। কিন্তু এই fuck শব্দটা শুনলেই সবার মধ্যে কেমন যেন অনুভুতির সৃষ্টি হয়।
এই প্রবন্ধে উদাহরণ স্বরূপ আমি যেসব নাম ব্যবহার করেছি (যেমন, সোহেল, নাসরিন, ফারজানা, রানা, সুমাইয়া, প্রভা) ওই নামের সকল পাঠকদের কাছ থেকে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমি নামগুলো পুরোপুরি দৈবচয়নের ভিত্তিতে গ্রহন করেছি। আশা করি পাঠকরা বুখতে পারবেন।

পিঙ্কী তার মা মলি আন্টি

প্রথম দিনঃ

পিঙ্কী তার মা মলি আন্টিকে বলছে, “আম্মু জানো, আজ না স্কুলে গুনতে শিখিয়েছে। সবাই পাঁচ পর্যন্ত গুনলো অথচ আমি গুনলাম দশ পর্যন্ত।” মুচকি হাসি দিল পিঙ্কী। “আমার এত বুদ্ধি, কারণ আমি তোমার মেয়ে, তাইনা আম্মু?”

মলি আন্টি হেসে বললেন, “হ্যা মা, কারণ তুমি আমার মেয়ে!!”

দ্বিতীয় দিনঃ

পিঙ্কী তার মা মলি আন্টিকে বলছে, “আম্মু জানো, আজনা আমাদের স্কুলে ক-খ শিখিয়েছে। পড়ানোর পর সবাই ক থকে ঙ পর্যন্ত বলতে পারলো, কিন্তু আমি বললাম ক থেকে ঞ পর্যন্ত। আমার ব্রেন এত শার্প কারণ আমি তোমার মেয়ে, তাইনা আম্মু।” একচোট হাসলো পিঙ্কী।

মলি আন্টি মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন, “হ্যা মা, কারণ তুমি আমার মেয়ে!!”

তৃতীয় দিনঃ

“আম্মু জানো জানো!!” পিঙ্কীর কণ্ঠে ভীষণ উত্তেজনা “আজনা আমাদের শরীরচর্চা-ম্যাডাম আমাদেরকে স্তন সম্পর্কে বুঝিয়েছেন। পরে সবার স্তন পরীক্ষার সময় দেখা গেল অন্যদেরটা আগাগোড়া একেবারে সমান, শুধুমাত্রা আমারটা ছত্রিশ সাইজের।” পিঙ্কীর চোখ কচকচ করতে লাগলো। “এটার কারণ, আমি তোমার মেয়ে, তাইনা আম্মু?”

মলি আন্টি মেয়ের কাঁধে হাত রেখে বললেন, “না মা, কারণ তোমার বয়স পঁচিশ।”

Sunday, August 7, 2011

একদিন নাসিরুদ্দিন হোজ্জা

একদিন নাসিরুদ্দিন হোজ্জা নদীর তীরে বসে ছিলেন। ঠিক সেই সময় ১০ জন অন্ধ লোক তাঁর কাছে এসে অনুরোধ করল তাদের নৌকায় করে ওপারে নিয়ে যেতে। হোজ্জা কাজটা করে দিতে রাজি হলেন ১০টি সোনারমুদ্রার বিনিময়ে। হোজ্জা অন্ধ ১০ জনকে নৌকায় তুলে নিলেন। নৌকাটা ছিল বেশ ছোট। একজন অন্ধ ভারসাম্য হারিয়ে নদীতে পড়ে গেল।
অন্য অন্ধরা জিজ্ঞেস করল হোজ্জাকে, কী ঘটেছে?
জবাবে হোজ্জা বললেন, "তোমাদের ১টি সোনারমুদ্রা বেঁচে গেল।

স্বর্গের দেবতা

একবার স্বর্গের দেবতারা আর নরকের শয়তানেরা মিলে ক্রিকেট খেলবে বলে ঠিক করল। স্বর্গের দেবতারা খেলায় জিত নিয়ে খুবই আত্মবিশ্বাসী, কারণ সব ভালো ভালো ক্রিকেটাররা স্বর্গে তাদের সঙ্গেই আছেন। কিন্তু শয়তানদের এই নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত দেখা গেল না। তাদের নিশ্চিন্ত ভাবভঙ্গি দেখে এক দেবতা এক শয়তানকে ডেকে বলল, কী ব্যাপার, ভালো ভালো ব্যাটসম্যান তো সব আমাদের এখানে, কিন্তু তোমাদেরকে বিশেষ চিন্তিত মনে হচ্ছে না! শয়তান সঙ্গে সঙ্গে দাঁত বের করে শয়তানি হাসি দিয়ে বলল, তোমাদের যতই ব্যাটসম্যান থাকুক, আম্পায়ারগুলো তো সব আমাদের এখানে!

একটা আম দুভাগ

মা দুইভাইকে একটা আম দুভাগ করে দিল। দেওয়ার সাথে সাথে ছোট ভাই বড় টুকরাটা নিয়ে নিল। তা দেখে তার বড় ভাই তাকে বলল।

বড় ভাইঃ তুই এমন! তুই জানিস আমাকে যদি কেউ দুই টুকরা আমের ভেতর থেকে একটা নিতে বলতো তাহলে আমি কোনটাকে নিতাম?

ছোট ভাইঃ কোনটা?

বড় ভাইঃ ছোটটা....

ছোট ভাইঃ এখনওতো সেটাই পেলে… …

যুক্তিবিদ্যার ক্লাসে শিক্ষক ও ছাত্রের মধ্যে কথা

যুক্তিবিদ্যার ক্লাসে শিক্ষক ও ছাত্রের মধ্যে কথা চলছেঃ-

শিক্ষক-উদহারণ দিয়ে, আমি টেবিল ছুয়েছি টেবিল মাটি ছুয়েছে তার মানে আমি মাটি ছুয়েছি।
শিক্ষক এক ছাত্রকে দেখিয়ে বললো আমার মত একটা উদহারণ দাও।
ছাত্র--আমি আপনাকে ভালবাসি, আপনি আপনার মেয়ে কে ভালবাসেন, অতএব আমি আপনার মেয়ে কে ভালবাসি!

আমি যেদিন কাজে যোগ দিয়েছি

মার্ক টোয়েন তখন তরুন। জীবনে প্রথম একটা প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে ঢুকলেন। চাকরি চলছে। ছয় মাস হয়ে গেল। কিন্তু প্রতিষ্ঠানে প্রধান মার্ক টোয়েনের উপর খুবই বিরক্ত। কারণ মার্ক টোয়েন নাকি খুবই অলস টাইপের। কাজে কর্মে কোন মনযোগ নেই। একদিন তিনি মার্ক টোয়েনতে ডেকে পাঠালেন।

-আমাকে ডেকেছেন?
-হ্যাঁ, আপনি মার্ক টোয়েন?
-জ্বি।
- আপনাকে আমার প্রতিষ্ঠানে আর রাখতে চাই না। আপনি কাল থেকে আর আসবেন না। আপনার যা পাওনা আছে তা ক্যাশিয়ারের কাছ থেকে নিয়ে বিদায় হোন।
-কি আমার অপরাধ?
-আপনি অসম্ভব আলসে। আপনার মত আলসেদের নিয়ে আমার প্রতিষ্ঠান চলবে না।
-আপনার প্রতিষ্ঠান এমনিতেও চলবে না।
-কেন?
-কারণ আমি যে আলসে এটা আমি যেদিন কাজে যোগ দিয়েছি সেদিন থেকেই জানি। আর আপনার বুঝতে লাগল ছয় মাস। কাজেই আপনার প্রতিষ্ঠান চলবে কিভাবে?

এক সদ্য বিবাহিত তরুণ

এক সদ্য বিবাহিত তরুণ এক ডাক্তারের সাথে কথা বলছে-

তরুণঃ প্রথমবার আমি এত ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম যে একটু থেমে রেস্ট নিলাম। দ্বিতীয় দফায় মনে হচ্ছিল আমার বুক ফেটে যাবে। আর তৃতীয় দফায় মনে হল আমার হার্ট এটাক হয়ে যাবে…।

ডাক্তারঃ আপনার স্ত্রী…???

তরুণঃ এখানে স্ত্রীর প্রসঙ্গ আসছে কেন? আমি থাকি চার তলায়। চার তলায় উঠার কথা বলছি।

এক পার্টিতে এক মহিলা আর পুরুষ তুমুল তর্ক

এক পার্টিতে এক মহিলা আর পুরুষ তুমুল তর্ক করছিলেন। কোন বিষয়েই তারা একমত হতে পারছিলেন না।

এক সময় মহিলা বললেন, আচ্ছা আমরা কি কোন বিষয়েই একমত হতে পারি না?

পুরুষ উত্তর দিলেন, অবশ্যই পারি। ধরুন কোন এক ঝড়-বৃষ্টির রাতে আপনি কোন এক রাজবাড়িতে আশ্রয় নিলেন। যেখানে এক ঘরের এক বিছানায় রাজকুমারী শুয়ে আছে আর অন্য বিছানায় তার পুরুষ পাহারাদার। আপনি কার সাথে শোবেন?

উত্তর এল, অবশ্যই রাজকুমারীর সাথে।

পুরুষটি বললেন, আমিও।

প্রেমিক প্রেমিকাকে বলছে,

প্রেমিক প্রেমিকাকে বলছে,

প্রেমিকঃ আমি না তোমাকে বিয়ে করতে পারবো না।

প্রেমিকাঃ কেন?

প্রেমিকঃ আমার বাসার সবাই আমার এ বিয়ের বিপক্ষে।

প্রেমিকাঃ তোমাদের বাসার কে কে আমাদের বিয়েতে মত দিচ্ছে না?

প্রেমিকঃ আমার বউ আর বাচ্চা।

এক তরুণী মেয়ে আর এক বুড়ো দাদু

এক তরুণী মেয়ে আর এক বুড়ো দাদু গিয়েছে ওজন মাপতে। প্রথমে মেয়েটা ওজন মাপাবার যন্ত্রে উঠলো, যন্ত্রের ভিতরে কয়েন ফেলল, টিকেট বেরিয়ে এল, ওজন ৬০কেজি।

এবার মেয়েটা নামলো, কাধ থেকে ব্যাগটা নামাল, আবার যন্ত্রের উপর উঠলো, যন্ত্রের ভিতরে কয়েন ফেলল, টিকেট বের হয়ে এল, ওজন ৫৯কেজি।

আবার মেয়েটা নামলো, জ্যাকেটটাকে খুলল, যন্ত্রের উপর উঠলো, যন্ত্রের ভিতরে কয়েন ফেলল, টিকেট বের হয়ে এল, ওজন ৫৮কেজি।

আবার মেয়েটা নামলো, জুটাটাকে খুলল, যন্ত্রের উপরে উঠলো, কয়েন শেষ।

এতক্ষণ ধরে বুড়ো দাদু সবকিছু দেখছিল। এবার সে কেশে বলল, "খুকী, চালিয়ে যাও। কয়েন লাগলে আমি দেব।

আরব মুল্লুকে বেড়াতে গেছে তিন ট্যুরিস্ট

আরব মুল্লুকে বেড়াতে গেছে তিন ট্যুরিস্ট।

মরুভূমিতে পথ হারিয়ে দিন তিনেক ঘোরাঘুরি পর একদিন এক মরূদ্যানের সামনে হাজির হলো তারা। সেখানে শুধু মেয়ে আর মেয়ে, সবাই স্বল্পবসনা এবং সুন্দরী। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই গোবদাগাবদা চেহারার কয়েকজন মহিলা এসে তাদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেলো আলিশান এক প্রাসাদের ভেতর। সেখানে জোব্বাপরা এক আরব শেখ বসে গড়গড়ায় তামাক খাচ্ছে, তাকে ঘিরে আছে অপরূপ সুন্দরী কিছু যুবতী।

গড়গড়া নামিয়ে শেখ বললো, 'আমি শেখ অমুক। এটা আমার মুল্লুক, এখানে যারা ভুল করে ঢুকে পড়ে, তাদের আমি কঠিন শাস্তি দিই।' প্রথমজনকে জিজ্ঞেস করলো সে, 'বলো, কী করো তুমি?'

প্রথম ট্যুরিস্ট জবাব দিলো, 'আমি একজন পুলিশ।'

শেখ হাততালি দিলো। দুই রূপসী সামনে এসে দাঁড়ালো। শেখ হুকুম করলো, 'যাও, এর যন্ত্রটাকে গুলি করে ঝাঁঝরা করে দাও।' তারপর দ্বিতীয়জনকে জিজ্ঞেস করলো সে, 'বলো, তুমি কী করো?'

দ্বিতীয় ট্যুরিস্ট জবাব দিলো, 'আমি একজন দমকলকর্মী।'

শেখ হাততালি দিলো। আরো দুই রূপসী সামনে এসে দাঁড়ালো। শেখ হুকুম করলো, 'যাও, এর যন্ত্রটাকে পুড়িয়ে ছাই করে দাও।' তারপর শেষজনকে জিজ্ঞেস করলো সে, 'বলো, কী করো তুমি?'

শেষ ট্যুরিস্ট দাঁত বের করে জবাব দিলো, 'আমি একজন ললিপপ বিক্রেতা।

বুড়ো লম্পট রিয়াদ সাহেব

বুড়ো লম্পট রিয়াদ সাহেব সত্তর বছর বয়সে কুড়ি বছরে এক সুন্দরী তরুণীকে বিয়ে করলেন।

বছর ঘুরতেই খোকা হলো তাদের।

হাসপাতালের নার্স মুচকি হেসে বললো, 'বাহ রিয়াদ সাহেব, বেশ ফর্মে আছেন মনে হচ্ছে?'

রিয়াদ সাহেব গর্বিত হাসি দিয়ে বললেন, 'পুরনো ইঞ্জিনটাকে চালু রাখলাম আর কি।'

আরো দুবছর পর আবার খুকি হলো তার।

নার্স আবারো মুচকি হাসলো। 'হুম, রিয়াদ সাহেব, বেশ ফর্মে আছেন।'

রিয়াদ সাহেব আবারো গর্বিত হাসি দিয়ে বললেন, 'পুরনো ইঞ্জিনটাকে চালু রাখলাম আর কি।'

বছর দুয়েক পর আবার খোকা হলো তাঁর।

নার্স কিছু বলার আগেই রিয়াদ সাহেব বললেন, 'পুরনো ইঞ্জিনটাকে চালু রাখলাম আর কি।'

নার্স মুচকি হেসে বললো, 'তাহলে এবার তেল পাল্টে নিন স্যার। আপনার এবারের বাচ্চাটার চুল সোনালি।'

ছোট্ট বাবুর ক্লাসে নতুন শিক্ষিকা

ছোট্ট বাবুর ক্লাসে নতুন শিক্ষিকা মিস মিলি এসেছেন। তিনি প্রথমেই সকলের সঙ্গে পরিচিত হবেন। কাজেই বাচ্চাদের দিকে তাকিয়ে মিষ্টি করে বললেন, 'ছোট্ট সুজি, তোমার বাবা মা কী করেন?'

'আমার বাবা একজন বিজ্ঞানী, আর মা একজন ডাক্তার।'

মিষ্টি হেসে মিস মিলি বললেন, 'ছোট্ট টুনি, তোমার বাবা মা কী করেন?'

'আমার বাবা একজন শিক্ষক, আর মা একজন উকিল।'

'বাহ! ছোট্ট বাবু, তোমার বাবা মা কী করেন?'

বাবু বলল, 'আমার বাবা মারা গেছেন, আর মা একজন পতিতা।'

মিস মিলি রেগে আগুন হয়ে প্রিন্সিপালের কাছে পাঠালেন বাবুকে। মিনিট পাঁচেক পর ছোট্ট বাবু ফিরে এল।

'তুমি প্রিন্সিপালকে বলেছ, তুমি আমার সঙ্গে কেমন আচরণ করেছ?'

'জ্বি মিস।' বলল বাবু।

'তিনি কী বললেন?'

'বললেন, আমাদের সমাজে কোনও কাজই তুচ্ছ নয়। তারপর আমাকে একটা আপেল খেতে দিলেন, আর বাসার ফোন নাম্বার লিখে রাখলেন।'

এক সৈন্য

এক সৈন্য ছুটতে ছুটতে এসে হাজির এক নানের কাছে।

"সিস্টার, আমাকে খুঁজছে এক দুষ্ট পুলিশ। আমাকে বাঁচান!" বললো সে।

"ঈশ্বর তোমার মঙ্গল করুন, বাছা! তা আমি কিভাবে তোমাকে সাহায্য করতে পারি?" খোনা গলায় বললেন নান।

"আমি কি আপনার এই ঢোলা আলখাল্লার নিচে লুকাতে পারি?" জানতে চাইলো সৈন্য।

"নিশ্চয়ই।" সায় দিলেন নান। সৈন্য হামাগুড়ি দিয়ে তাঁর আলখাল্লার নিচে ঢুকে পড়লো।

খানিকক্ষণ বাদেই এক পুলিশ ছুটতে ছুটতে এসে হাজির।

"সিস্টার, এদিক দিয়ে কোন সৈন্যকে যেতে দেখেছেন?"

"হ্যাঁ বাছা। সে তো ওদিকে চলে গেলো ছুটতে ছুটতে।"

পুলিশ ধন্যবাদ জানিয়ে নানের দেখানো দিকে ছুটতে ছুটতে চলে গেলো।

আলখাল্লার নিচ থেকে বেরিয়ে সৈন্য বললো, "সিস্টার, আপনি আমাকে বাঁচালেন। আমি যুদ্ধে যেতে চাই না, কিন্তু ব্যাটারা আমাকে জোর করে পাঠাবেই!"

নান বললেন, "ঠিক আছে বাছা, ঈশ্বর তোমার মঙ্গল করুন।"

সৈন্য বললো, "ইয়ে, সিস্টার, একটা কথা আপনাকে বলা দরকার। আলখাল্লার নিচে বসে দেখলাম কি না। দারুণ একজোড়া ঊরু আপনার!"

নান বললেন, "বাছা, আরেকটু ওপরে খেয়াল করলে দারুণ একজোড়া অন্ডকোষও দেখতে পেতে। আমিও যুদ্ধে যেতে চাই না ...।"

এক প্রফেসর

এক প্রফেসর তার সাইকোলজি ক্লাসে এক ছাত্রীকে প্রশ্ন করলেন, মানুষের শরীরের কোন অঙ্গটা উত্তেজিত অবস্থায় সাধারণ অবস্থার চেয়ে দশগুণ বড় হয়ে যায়?

মেয়েটি লজ্জায় লাল হয়ে বলল, স্যার এটা আমার পক্ষে বলা সম্ভব না।
তখন একই প্রশ্ন প্রফেসর এক ছাত্রকে করলেন।

ছেলেটি দাঁড়িয়ে বলল, স্যার চোখের মণি।

তখন প্রফেসর মেয়েটিকে বললেন, এক নম্বর কথা, তুমি পড়াশোনায় যথেষ্ট অমনোযোগী, দুই নম্বর কথা তোমার মনমানসিকতা অশ্লীল এবং তিন নম্বর হচ্ছে বিয়ের পর তুমি অবশ্যই হতাশ হবে।

এ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া

পঞ্চাশোর্ধ এক ব্যবসায়ী সুন্দরী এক কল গার্লের সেবা গ্রহণ করলেন এবং তাকে নগদ টাকা না দিয়ে তার অফিসে একটি বিল পাঠাতে বললেন। বিলতো আর গৃহিত সেবার নামে করা যাবে না তাই ব্যবসায়ী গার্লকে পরামর্শ দিলেন তুমি এমন একটা বিল আমার অফিসে পাঠাবে যেন আমি তোমার কাছ থেকে একটি এ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নিয়েছিলাম।

যথারীতি গার্ল পরের সপ্তাহে ব্যবসায়ীর অফিসে একটি বিল পাঠালেন।
এ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া বাবদ ৫০০০ টাকা ।

ব্যবসায়ী স্বভাব সুলভ কারনে সেই বিলও কাটলেন ২৫০০ হাজার টাকা কেটে বাকী আড়াই হাজার টাকা পাঠালেন গার্ল এর কাছে। বিল কাটার কারন হিসেবে তিনি লিখলেন :

১) আমি ভেবেছিলাম এ্যাপার্টমেন্টটি (??) একদম নতুন আগে কেউ ব্যবহার করেনি, কিন্তু ভাড়া নেয়ার পর দেখলাম এটি আগেও ভাড়া হয়েছে।

২) ভাড়া নেবার সময় আমি ভেবেছিলাম এ্যাপার্টমেন্টটি (??) অনেক ছোট এবং সুন্দর, কিন্তু ভাড়া নেবার পর দেখলাম অনেকে এই এ্যাপার্টমেন্ট ব্যবহার করায় এর আকার অনেক বড়। এত বড় এ্যাপার্টমেন্ট আমার পছন্দ নয়।

৩) ভাড়া নেবার সময় আমি ভেবেছিলাম এ্যাপার্টমেন্টটি (??) অনেক গরম হবে ,কিন্তু ভাড়া নেবার পর দেখলাম এটি একেবারেই ঠান্ডা ।

কলগার্ল ব্যবসায়ীর এই কারন সহ অর্ধেক পেমেন্ট পেয়ে রেগে গেলেন এবং আড়াই হাজার টাকা ফেরত পাঠিয়ে দিয়ে পুরো ৫০০০ টাকা দেবার অনুরোধ করলেন এবং ব্যবসায়ীর কারন গুলোর বিপরীতে লিখলেন:

১) তুমি কি করে ভাবলে এত সুন্দর এ্যাপার্টমেন্টটি (??) ভাড়া না হয়ে এতদিন পরে থাকবে?

২) এ্যাপার্টমেন্টটি (??) আসলে সুন্দর এবং ছোটই ছিল, কিন্তু তোমার যদি এই এ্যাপার্টমেন্টটি (??) ভর্তি করার মত ফার্নিচার (??) না থাকে তাহলে আমার কি করার আছে?

৩) এ্যাপার্টমেন্টটিতে (??) আসলে অনেক গরমই ছিল কিন্তু তুমিতো জানই না এটা কি ভাবে অন করতে হয়।
তাই আমার পুরো পাওনা ৫০০০ টাকাই দিতে হবে।

কুকুরকে শিক্ষাদান

পার্কে একটা বিরাট কুকুর নিয়ে বসে আছে বাবু। এক তরুণী যাচ্ছিলো পাশ দিয়ে, দাঁড়িয়ে বললো, ‘বাহ, বেশ তো কুকুরটা!’

বাবু হাসলো। ‘হ্যাঁ। খুব রোমান্টিক ও। আর মেয়েরা তো ওকে খুব পছন্দ করে, দারুণ সেক্স করতে পারে কি না।’

তরুণীর চোখে আগ্রহ ফুটলো। ‘তাই?’ ফিসফিস করে জানতে চাইলো সে।

বাবু বললো, ‘হ্যাঁ, দেখতে চান? চলুন আমার বাসায়।’

বাড়ি ফিরে মেয়েটাকে সাথে নিয়ে নিজের ঘরে এলো সে। মেয়েটাকে জামাকাপড় খুলতে বলে সে কুকুরটার দিকে ফিরলো, ‘কালু, এই আপুটাকে আদর করো তো!’

কালুর কোন ভাবান্তর হলো না।

বাবু আবার হুকুম দিলো, তবুও সে গ্যাঁট হয়ে বসে রইলো।

এবার বাবু একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে প্যান্ট খুলতে খুলতে বললো, ‘ঠিক আছে, কালু, তোমাকে দেখিয়ে দিচ্ছি কিভাবে কী করতে হবে, কিন্তু এ-ই শেষবার, বলে দিচ্ছি!’

শুরু করার আগে

অফিস থেকে বাড়ি ফিরে স্বামী বলল, ‘শুরু করার আগে ভাতটা দাও, খেয়ে নিই।’

স্ত্রী ভাত বেড়ে দিল। ভাত খেয়ে স্বামী ড্রয়িংরুমের সোফায় বসতে বসতে বলল, ‘শুরু করার আগে এক গ্লাস পানি দাও…বড্ড তেষ্টা পেয়েছে।’

স্ত্রী পানি দিয়ে গেল।পানি খেতে খেতে স্বামী বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়ল। তারপর বলল, ‘শুরু করার আগে এক কাপ চা দাও না আমাকে।’

এইবার স্ত্রী গেল খেপে, ‘অ্যাই, পেয়েছ কী তুমি আমাকে, আমি তোমার চাকর? অফিস থেকে ফিরে একটার পর একটা খালি অর্ডার মেরেই যাচ্ছ…নির্লজ্জ, অসভ্য, ছোটলোক, স্বার্থপর…’

স্বামী কানে তুলা গুঁজতে গুঁজতে বলে, ‘এই যে…শুরু হয়ে গেল।’

সন্তানসন্ততির দায়ভার

এক দম্পতি আদালতে গেছেন তালাক দিতে। কিন্তু স্ত্রী তালাক দিতে নারাজ। আদালতে বেশ কান্নাকাটি শুরু করে দিলেন তিনি।

বিচারক ভদ্রমহিলাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনি কাঁদছেন কেন? তালাক হলে তো আপনার স্বামী আপনাকে খোরপোষ দেবেন। তাতে তো ভালোই চলে যাওয়ার কথা।’

ভদ্রমহিলা বললেন, ‘আমাদের ৪৫ বছর বিয়ের বয়সে ১৬ জন সন্তান হয়েছে। আর নাতি-নাতনি মোট ২৩ জন।’

বিচারক বললেন, ‘তাতে সমস্যাটা কী?’

ভদ্রমহিলা বললেন, ‘কিন্তু বিয়ের সময় আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, তালাক হলে সব সন্তানসন্ততির দায়ভার যে আমাকেই বহন করতে হবে।’

বেদুঈনের উট

এক বেদুঈন উটে চড়ে মরুভূমি পার হচ্ছে।

দিনের পর দিন মরুভূমিতে চলতে চলতে হাঁপিয়ে উঠেছে সে, সেক্সের জন্যে আনচান করছে মন। একদিন সে ঠিক করলো, উটটাকেই ব্যবহার করবে সে। যে-ই ভাবা সে-ই কাজ, উটের পিঠ থেকে নেমে সে উটের পেছনে গিয়ে দাঁড়ালো। কিন্তু উট তার মতলব বুঝতে পেরে দিলো ছুট।

খানিকটা ছুটে হাঁপাতে হাঁপাতে উটটাকে পাকড়াও করে আবার মরুভূমি পাড়ি দিতে লাগলো বেদুঈন। কিন্তু পরদিন ভোরে আবার তার খায়েশ হলো। আবারও সে উটের পেছনে গিয়ে দাঁড়ালো। উটও আগের মতো ছুট দিলো। বেদুঈন গালি দিতে দিতে আবার উটটাকে পাকড়াও করে পথ চলতে লাগলো।

এমনি করে একদিন সে এক হাইওয়ের পাশে এসে দাঁড়ালো। সেখানে একটা গাড়ি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে, আর গাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে স্বল্পবসনা অপরূপ রূপসী তিন তরুণী। উট থেকে নেমে এগিয়ে গেলো সে।

‘আপনাদের কিভাবে হেল্প করতে পারি?’ জানতে চাইলো সে।

তরুণীদের একজন, সবচেয়ে আবেদনময়ী যে, লাস্যময়ী ভঙ্গিতে বললো, ‘দেখুন না, গাড়িটা নষ্ট হয়ে আছে। এখন যে কী হবে! কেউ যদি গাড়িটা ঠিক করে দিতো, তাহলে সে যা চাইতো তা-ই দিতাম আমরা।’

বেদুঈন এগিয়ে গিয়ে বনেট খুলে তিন মিনিট ঘাঁটাঘাঁটি করতেই গাড়ি আবার জ্যান্ত হয়ে উঠলো। তিন রূপসী এবার ঘিরে ধরলো তাকে। ‘বলুন কিভাবে আপনার এই উপকারের প্রতিদান দিতে পারি?’ মোহনীয় হাসি ঠোঁটে নিয়ে জানতে চাইলো তারা।

বেদুঈন খানিকটা ভেবে বললো, ‘পাঁচ মিনিটের জন্যে আমার উটটাকে একটু শক্ত করে ধরে রাখতে পারবেন?’

লিঙ্গ সমস্যা

একবার সরকারের নীতি নির্ধারকদের একটি দল জটিল সমস্যায় পড়লেন। সমস্যাটা লিঙ্গ নির্ধারন সংক্রান্ত।

তো তারা গেলেন খালেদা জিয়ার কাছে। ম্যাডাম, কাঁঠাল কোন লিঙ্গ? ম্যাডাম বললেন, এটা নির্ধারন করা কোনো সমস্যা না। আমি আজকেই বাংলা একাডেমীর ডিজিকে বলে দিচ্ছি। তিনি জানিয়ে দিবেন।
কিন্তু দুইদিন গেল, ডিজি জানালেন না।

তখন তারা গেল এরশাদের কাছে। এরশাদের ঝটপট জবাব-আরে কাঁঠাল হল পুং লিঙ্গ। কারণ কাঁঠালের বিচি আছে।

এরপর পত্রিকার খবর বের হল-পুলিশ একদল ছাত্রকে ডান্ডা দিয়ে বেধড়ক পেটাচ্ছে।

আচ্ছা, পুলিশ কোন লিঙ্গ? জানতে চাওয়া হল খালেদা জিয়ার কাছে। খালেদা বললেন, এটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিতে হবে। সেই খোঁজ আর আসে না দেখে এরশাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়। তিনি বললেন যেহেতু পুলিশের ডান্ডা আছে তাই পুলিশ পুংলিঙ্গ।

এরপর প্রশ্ন উঠে আইন কোন লিঙ্গ। এবারও যথারীতি খালেদা জিয়া ফেলটুস। বলতে পারলেন না। অগত্যা আবার কাবিল এরশাদের কাছে জিজ্ঞাসা। তিনি ভেবেচিন্তে বললেন, আইনের ফাঁক আছে, তাই আইন স্ত্রী লিঙ্গ।

ক্যালেন্ডার টাঙ্গাইবেন

এক লোক ডাক্তার দেখাতে গেছে কারণ তার ইয়ে দাঁড়ায় না। ডাক্তার শুনে বললেন, বিয়ে করছেন?
: না।
: প্রেমিকা আছে ?
: না।
: পরকীয়া করেন ?
: ন…
: টানাবাজার যান ?
: না।
: মাস্টারবেট করেন?
: না।
ডাক্তার ক্ষেপে বললেন, “ওই মিয়া, তাহলে দাড়া করায়ে কি করবেন? ক্যালেন্ডার টাঙ্গাইবেন!!!”

পুরোটাই আনন্দের

একজন জেনেরেল, একজন কর্নেল এবং একজন মেজরের মাঝে আলোচনা হচ্ছে।

জেনেরেলঃ সেক্সের ষাট ভাগ পরিশ্রম আর চল্লিশ ভাগ আনন্দের।

কর্নেলঃ সেক্সের পচাত্তর ভাগ পরিশ্রম আর পচিশ ভাগ আনন্দের ।

মেজরঃ সেক্সের নব্বই ভাগ পরিশ্রম আর দশ ভাগ আনন্দের।

এক সময় একজন জওয়ান আসলো তাদের কাছে। জেনেরেল বললেন, ঠিক আছে, ঐ জওয়ান ব্যাটাকে জিঞ্জেস করা হোক। অন্য দুজন তা মেনে নিল।

জওয়ান বললো , সেক্সের পুরো টাই আনন্দের।

এ কথা শুনে তারা তিন জন এক সাথে বলে উঠল, কেন তুমি একথা বললে ?

জওয়ান বললো, পরিশ্রমের হলে তো কাজটা আমাকেই করতে দিতেন, আপনার করতেন না

ইলস্টিক দিয়ে নতুন গুলতি

এক পাগলের অভ্যাস ছিল গুলতি দিয়ে যে কোন কাঁচের জানালা ভাঙ্গার । তাকে ধরে মানসিক চিকিৎসালয়ে নিয়ে আসা হল । এক বছর চিকিৎসার পর ডাক্তারের ধারনা হল রোগ মুক্তি হয়েছে, তাকে ছেড়ে দেয়া যায় । ছাড়বার আগে শেষ পরীক্ষা করার জন্য ডাক্তারের চেম্বারে তাকে ডাকা হল ।

ডাক্তার : স্যার , আমাদের ধারনা আপনি সম্পূর্ন আরোগ্য হয়েছেন । তাই আপনাকে ছেড়ে দেয়া হবে । এবার আপনি বলুন এখান থেকে ছেড়ে দেয়ার পর আপনি কি করবেন ?

পাগল : আমি ! সত্যি বলব ?

ডাক্তার : বলুন ।

পাগল : প্রথমে ভালো একটা স্যুট কিনব । তারপর সেটা পরে আমি তাজমহল হোটেলে যাবো ডিনার খেতে ।

ডাক্তার : গুড, নর্মাল ব্যাপার, তারপর ?

পাগল : তারপর সেখানে সুন্দরী এক সোসাইটি গার্লকে বলব যে, মে আই হ্যাভ এ ড্যান্স উইথ ইউ ?

ডাক্তার : গুড, নর্মাল, তারপর ?

পাগল : তারপর তাকে ডিনার খাওয়াবো । মদ খাওয়াবো ।

ডাক্তার : ঠিক আছে, তারপর ?

পাগল : তারপর তাকে হোটেলের একটা রুমে নিয়ে আসব । নীল আলো জ্বালিয়ে দেবো । স্লো মিউজিক চালিয়ে দেব ।

ডাক্তার : নর্মাল সবকিছু, তারপর ?

পাগল : তারপর ধীরে ধীরে শাড়ী খুলব, ব্লাউজ খুলব , ব্রা খুলব, পেটিকোটটা খুলে ধীরে ধীরে নামিয়ে আনব পা থেকে ।

ডাক্তার : নাথিং রং, তারপর ?

পাগল : এবার মেয়েটির শরীরে বাকী আছে তার আন্ডারওয়ার । এখন ধীরে ধীরে সেই আন্ডারওয়ারটি খুলে নেব আমি ।

ডাক্তার : তারপর ?

পাগল : তারপর আন্ডারওয়ার থেকে ইলাস্টিকের দড়িটা খুলে নেব আমি । এই ইলস্টিক দিয়ে নতুন গুলতি বানাবো । আর সেই গুলতি দিয়ে শহরের যত কাঁচের জানালা আছে সব ভেঙ্গ চুরমার করে দিব আমি

দুই এভারেস্ট অভিযাত্রী

দুই এভারেস্ট অভিযাত্রীর মধ্যে কথা হচ্ছে—
প্রথম অভিযাত্রী: আচ্ছা, তুমি অবসরে ছুটি কাটাও কোথায়?
দ্বিতীয় অভিযাত্রী: অবসরটা আমার দুই জায়গায় কাটে।
প্রথম অভিযাত্রী: কোথায় কোথায়?
দ্বিতীয় অভিযাত্রী: অবসরের অর্ধেক সময় আমি এভারেস্টে ওঠার চেষ্টা করি, আর বাকি সময়টা হাসপাতালে কাটিয়ে দিই।

নয় মার্কিন পণ্ডিত আর এক বাংলাদেশি

নয় মার্কিন পণ্ডিত আর এক বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ গেলেন হিমালয় জয় করতে। কিন্তু পাহাড়ে ওঠার সময় ভীষণ বিপদে পড়ে গেলেন দশ অভিযাত্রী। বেয়ে ওঠার দড়িটা খুব দুর্বল হয়ে গেছে। যেকোনো একজনকে দড়ি থেকে ফেলে না দিলে সবাই একসঙ্গে পড়ে যাবেন এমন অবস্থা। কিন্তু কেউই হাত থেকে দড়ি ছাড়তে নারাজ। বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ দেখলেন পরিস্থিতি বেশি সুবিধার না। তাঁরা নয়জন মিলে তাঁকে হাত থেকে দড়ি ছেড়ে দিতে বাধ্য করবেন। তখন তিনি সবার উদ্দেশে বক্তৃতা শুরু করলেন, কেন তাঁদের মতন মহান পণ্ডিতদের জীবন তাঁর মতন তুচ্ছ মানুষের জীবনের চেয়ে অনেক বেশি মূল্যবান এবং তিনি এই নয় মার্কিন পণ্ডিতের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করতে পেরে কেমন ধন্য বোধ করছেন। পণ্ডিতেরা বক্তৃতায় আবেগাপ্লুত হয়ে সবাই হাততালি দিয়ে উঠলেন।

চার তরুণী নান

চার তরুণী নান এক কনভেন্টে যোগ দিতে চাইছে।
মাদার সুপিরিয়র বললেন, ‘তার আগে তোমাদের পরীক্ষা নেওয়া হবে। সবাই এক লাইনে দাঁড়াও।’
সবাই লাইনে দাঁড়ানোর পর তিনি প্রথম নানকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘বাছা, তুমি কি কখনও কোনও পুরুষের সেই প্রত্যঙ্গ স্পর্শ করেছ? করে থাকলে নিজের শরীরের কোন অঙ্গ দিয়ে স্পর্শ করেছ?’
লজ্জিত মুখে প্রথম নান বলল, ‘আঙুল দিয়ে, মাদার।’
মাদার সুপিরিয়র পবিত্র পানির একটি বাটি এগিয়ে দিলেন। ‘তোমার আঙুল এ পানিতে ডোবাও, সব পাপ ধুয়ে ফেল, পবিত্র হয়ে এসো আমাদের কনভেন্টে।’
প্রথম নান আঙুল পানিতে ডুবিয়ে কনভেন্টে ঢুকে গেল।
এবার মাদার সুপিরিয়র দ্বিতীয় নানকে বললেন, ‘কি বাছা, তুমিও স্পর্শ করেছ নাকি? স্পর্শ করে থাকলে নিজের শরীরের কোন অঙ্গ দিয়ে স্পর্শ করেছ?’
লজ্জিত মুখে দ্বিতীয় নান বললো, ‘হাত দিয়ে, মাদার।’
যথারীতি মাদার সুপিরিয়র পবিত্র পানির বাটি এগিয়ে দিলেন, হাত ধুয়ে পাপমুক্ত হয়ে দ্বিতীয় নান কনভেন্টে প্রবেশ করল।
এমন সময় চতুর্থ নান তৃতীয় নানকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে সামনে এগিয়ে এল। মাদার অবাক হয়ে বললেন, ‘ও কি, বাছা, ঈশ্বরের পথে অত তাড়া কিসের?’
চতুর্থ নান বলল, ‘উঁহু, মাদার, ও এই পানিতে বসে পড়ার আগেই আমি কুলি করতে চাই।’

সেক্স এজুকেশন কোর্স

সেক্স এজুকেশন কোর্সে তিন পিচ্চি বাজে গ্রেড পেয়েছে। একজন সি, একজন ডি আর একজন এফ।
যে সি পেয়েছে, সে চটে গিয়ে বলছে, “ম্যাডাম এটা একটা কাজ করলো? চল বেটিকে শায়েস্তা করি!”
যে ডি পেয়েছে, সে বলছে, “হ্যাঁ, চল! স্কুল ছুটি হয়ে গেলে যখন কেউ থাকবে না, তখন বেটিকে পাকড়াও করবো …!”
যে এফ পেয়েছে, সে বলছে, “হ্যাঁ, তারপর পাকড়াও করে ম্যাডামের অন্ডকোষে অ্যায়সা জোরসে একটা লাত্থি মারবো না!”

বোর্ড নিয়ে বিছানায় গেছে

সুমন আর জুমন দুই বন্ধু প্রেমে ছ্যাক খেয়ে ঠিককরলো, এই ইহজীবনে তারা আর কোনও মেয়ের সাথে সম্পর্ক রাখবে না। দুজনেই সিদ্ধান্ত নিলো, পৃথিবীর এই চেনা পরিবেশ ছেড়ে তারা চলে যাবে সুদূর আলাস্কা, সেখানে লোকালয় থেকে বহুদূরে, বিশেষ করে মেয়েদের থেকে বহুদূরে গিয়ে বাস করবে। আলাস্কা পৌঁছে তারা স্থানীয় এক দোকানে গিয়ে তাদের উদ্দেশ্য খুলে বললো, তারপর দুজন মানুষের জন্যে এক বছরের রসদ গুছিয়ে দেয়ার অনুরোধ জানালো দোকানীকে। বুড়ো দোকানী সব যত্ন করে সাজিয়ে দিলো, প্রায় সবরকম খাবারদাবার, সংসারের নানা জিনিসপত্র, তার সঙ্গে একটা অদ্ভূত বোর্ড। বোর্ডের নিচের দিকে একটা ফুটো, তার চারপাশে ভেড়ার লোম।
দুই বন্ধুই অবাক হয়ে বললো, ‘এটা আবার কী?’
দোকানী বললো, ‘তোমরা যেখানে যাচ্ছো, সেখানে কোনও মেয়েছেলে নেই। এই জিনিসটা কাজে আসতে পারে।’
কী ভেবে রাজি হয়ে দুই বন্ধু চলে গেলো। এক বছর পর সুমন একাই সেই দোকানে ফিরে এলো। দোকানীকে আবারো এক বছরের জন্য রসদ গুছিয়ে দিতে বললো সে, তবে এবার একজনের জন্য। দোকানী অবাক হয়ে বললো, ‘গত বছর তো তোমরা দুজন এসেছিলে, নাকি? আরেকজন কোথায়?’
‘ঐ ব্যাটাকে খুন করেছি আমি।’ জানালো সুমন।
বুড়ো দোকানী ঘাবড়ে গিয়ে বললো, ‘সে কি, কেন?’
‘একদিন অসময়ে বাড়ি ফিরে দেখি, আমার অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে আমার বোর্ড নিয়ে বিছানায় গেছে হারামজাদাটা।’

মাদ্রিদে ষাঁড়ের লড়াই

মাদ্রিদে ষাঁড়ের লড়াই দেখে পাশের রেস্তারাঁয় ঢুকেছে এক ট্যুরিস্ট। স্পেশাল ডিশ অর্ডার দেয়ায় বেয়ারা এক অদ্ভুত জিনিশ এনে হাজির করলো। আলু আর লেটুসের সাথে গোল গোল দুটো মাংসের টুকরোমত।
“কী এটা?” জানতে চাইলো ট্যুরিস্ট।
‘কহোনেস, সেনর। ‘ বুক পুলিয়ে জবাব দিলো বেয়ারা। ‘আজকে অ্যারেনাতে যে ষাঁড়টা লড়াইয়ে হারলো, তার অন্ডকোষ। ‘
নাক সিঁটকে খাওয়া শুরু করলো ট্যুরিস্ট। কিন্তু মুখে দিয়েই চমকে গেলো সে, না যা ভেবেছিলো তা নয়, বরং বেশ সুস্বাদু জিনিসটা। চেটেপুটে খেয়ে সে ঠিক করলো, আগামীকালও এই কহোনেসই খেতে হবে।
পরদিন আবার একই রেস্তোরাঁয় এসে অর্ডার দিলো সে চটপট। যথারীতি বেয়ারা এনে হাজির করলো খাবার। আলু, লেটুস, কিন্তু আজকের মাংসের টুকুরো দুটো খুবই ছোট। ঘটনাটি কী, জানতে চাইলো ট্যুরিস্ট।
‘আসলে ব্যাপারটা হয়েছে কি …,’ খানিক মাথা চুলকে বললো বেয়ারা, ‘ষাঁড়ের লড়াইতে কিন্তু সবসময় ষাঁড়ই হারে না।’

ছাগল খাসী করা

সে এক আদ্যিকালের কথা।এক রাজ্যে ছিল এক বুড়ি।বুড়ির খুব দু্ঃখ।তার স্বামী মারা গেছে বহু আগে,কোন ছেলেপেলেও নেই।আছে শুধু একটা ছাগল।ভিক্ষা করে কোনরকমে নিজের আর ছাগলের পেট চলে।

তো একদিন বুড়ি ভিক্ষা করছে।এক বাড়িতে তাকে ভিক্ষা দিল একটা প্রদীপ।বুড়ি ভাবল এটা দিয়ে কি করা যায়?যা থাকে কপালে ভেবে ঘষা দিল প্রদীপে।

তারপর যা হয় আর কি।এক জ্বিন এসে হাজির।বলল,হুকুম করুন।আপনার তিনটা ইচ্ছা পূরণ করব।

বুড়ি তার প্রথম ইচ্ছা জানাল,আমাকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর রাজপ্রাসাদের মালিক বানিয়ে দাও।

যো হুকুম।বুড়ি রাজপ্রাসাদে এসে গেল।

আপনার দ্বিতীয় ইচ্ছা কি?

আমাকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর রাজকন্যা বানিয়ে দাও।

তাই হল।

তৃতীয় ইচছা কি?

আমার পোষা ছাগলটাকে পৃথিবীর সবচেয়ে যৌনআবেদনময় পুরুষ বানিয়ে দাও।

বুড়ির এই ইচছাও পূরণ হল।

আমি এখন মুক্ত।এই বলে জ্বীন অদৃশ্য হল।

সুদর্শন যুবক (যে কিনা আগে ছাগল ছিল) এগিয়ে এল বুড়ির(যে এখন সুন্দরী রাজকন্যা) দিকে।বুড়ির নিঃশ্বাস ভারী হয়ে এল।বুড়ির কানে কানে সে বলল,আপনার কি মনে আছে শৈশবে আপনি আমাকে ছাগল থেকে খাসী করে দিয়েছিলেন???

উপরে উঠিস না

গল্পটা এক রাজাকার ও তার সদ্যবিবাহিত ৩য় পক্ষের। বেটা রাজাকারের মেজাজ সব সময় খারাপ থাকে আর সে তার বউ-রে সব সময় ঝারির উপর রাখে। তাই বউডা তারে খুব ডরায়। ইদানীং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কথা বাতাসে ভাসতেছে, তাই তার মেজাজ মর্জি আরও ভয়াবহ। যাই হোক, ওই বেটার একটু জ্বর জ্বর লাগতেছে বইলা সে ডাক্তারের কাছে গেছে। ডাক্তারদের যা কাজ.... যথারীতি তার মূত্র পরীক্ষা করতে দিছে, সাথে একটা স্যাম্পলের বোতল। বাড়িতে ফিরে, ওই বেটা বোতলে হিসি করে, টয়লেটের দরজার কোনায় রাখছে। একটু পর ৩য় বউ টয়লেটে যাওয়া সময় ধাক্কালেগে বোতল গেছে পরে। বউ তো এমনিতেই ভীষণ ভীতু, সে তাড়াতাড়ি বোতলটা নিজের .... দিয়ে ভরে জায়গা মত রেখে দিছে।

রাজাকার চাচা পরদিন ডাক্তারের কাছে স্যাম্পল দিলে, ডাক্তার বলছে, ২ দিন পর এসে রিপোর্ট নিয়ে যেতে। চাচা দুই দিন পর যখন ডাক্তার খানায় গেছে, তখন তাদের কনভারসেশন এই রকম:
ডাক্তার (চিন্তিত): এই স্যাম্পল কি আপনার?
চাচা: জ্বি।
ডা: এই স্যাম্পল কি আপনার? (এবার একটু জোরে)
চাচা: আমার না কার? আমি নিজে....ইয়ে করে.... (চাচাও ক্ষেপে গেছে।)
ডাক্তার (মাথা চুলকিয়ে): তাইলে তো আপনি প্রেগন্যান্ট।
(চাচা তো এইবার মহা খাপ্পা)
চাচা: ওই মিয়া মসকারি কর? বেটা ছেলে কখনও .....
ডা: আরে ভাই, দুই দিন হইল নতুন টেস্টিং মেশিন বসাইছি....
চাচা: তাই বইলা ৫০ বছরের জোয়ান বেটারে তুমি .....
ডা: আরে মশাই, আপনি ক্ষেপেন ক্যা? সমস্যা তো আমার, ডাক্তারের, আমি চিন্তা করে পাই না, বাচ্চাটা ডেলিভারি করাব কিভাবে!!!

(অনেক তর্কাতর্কির পর চাচা মোটামুটি কনভিন্সড যে তার বাচ্চা হইলেও হইতে পারে।)
এর পর চাচা বেচারা চিন্তায় চিন্তায় নয়া চাচীর লগে কথা কয় না। রাইতে সোহাগ করে না। চাচী খুব করে চাচারে বলে ওগো তোমার কি হইছে আমারে কও। চাচা তাও কথা কয় না। চাচী এই বার চাচারে গুঁতা দিয়া বলে বুইরার হইছেটা কি? চাচার এমনিতেই টেনশনে অবস্থা খারাপ, চাচীর ভ্যাজর ভ্যাজরে আরো অতিষ্ট হয়ে বলে, হারামজাদী তোরে আগেই কইছিলাম উপরে উঠিস না।

পত্রিকায় ছাগ সংবাদ

একদা মনের সুখে কাঁঠাল পাতা চর্বন করিতে করিতে ছাগু ভীষণ টায়ার্ড হইয়া পড়িলো। সে শুইয়া শুইয়া জাবর কাটিতে লাগিত। ইত্যবসরে নিদ্রাদেবী তাহার চক্ষে স্থায়ী হইলে সে ঘোঁত ঘোঁত করিয়া নাক ডাকিতে থাকিলো।

সেই পথ দিয়া যাইতেছিলো ধেড়ে ইঁদুর। সে ছাগুর নিদ্রাযাপনের সুযোগ লইলো। সে দ্রুত ছাগুর পাছা মারিয়া দৌড় লাগাইলো। কিন্তু ছাগুর ঘুম ভাঙ্গিয়া গেলো এবং সে ব্যাপার বুঝিতে পারিয়া ধেড়ে ইঁদুরটিকে তাড়া করিল।

তাড়া খাইয়া সে ষ্টেশনের দিকে ছুটিল এবং এবং একটা ট্রেনে উঠিয়া পড়িলো। ছাগুও কিছুক্ষণ বাদে সে ট্রেনে আসিয়া উঠিলো। বাচাল ইদুঁরটি এরই মাঝে কিভাবে যেন শার্ট-প্যান্ট যোগাড় করিয়া পরিয়া নিলো এবং একটা পত্রিকা নিয়া মুখ ঢাকা দিলো।

ছাগু জনে জনে জিগাইতে লাগিলো, জনাব, আপনি কি একটা ধেড়ে ইঁদুরকে আসিতে দেখিয়াছেন?

একসময় সে শার্ট-প্যান্ট পরা ধেড়ে ইদুঁরকে একই প্রশ্ন করিলো। ধেড়ে পত্রিকা থেকে মুখ না তুলিয়া কহিলো, সে দুষ্ট ইদুঁরটা তো যে কিনা কিছুক্ষণ আগে আপনার পাছা মেরেছে।

ছাগু কহিলো, কি আর বলিব দু:খের কথা। দেখুন, পাছা মেরেছে এক ঘন্টাও হয় নাই, অথচ এরই মাঝে খবরটা পত্রিকায় এসে গেছে।

রোবট

একদিন জর্জের বাবা বাজার থেকে একটা রোবট কিনে নিয়ে আসলেন। বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন এই রোবট কেউ মিথ্যে কথা বললেই তার গালে চড় কষে দেয়।

সেদিনই স্কুল থেকে বেশ দেরী করে বাড়ি ফিরলো জর্জ। জর্জের বাবা জর্জকে জিজ্ঞেস করলেন, “এত দেরী হলো কেন?”

“বাবা, আজ একটা অতিরিক্ত ক্লাস ছিল।” কাচুমাচু স্বরে জবাব দিল জর্জ।
কথাটা শেষ হতে পারলো না। তার আগেই একটা চড় এসে জর্জের গালে পড়লো। ফ্যাল ফ্যাল করে রোবটটার দিকে তাকিয়ে ডান হাতে গাল ঘষতে শুরু করলো জর্জ।

জর্জের বাবা তখন বললেন, “শোন জর্জ, এই রোবটটি মিথ্যে কথা বললে বুঝতে পারে, আর শাস্তি হিসেবে কি দেয় সেটাতো দেখলেই। এখন বলো কেন দেরী হলো বাসায় ফিরতে?”

বিস্মিত জর্জ নীচু স্বরে জবাব দিল, “আমি সিনেমা দেখতে গিয়েছিলাম।”

“কি সিনেমা?” বাবা জানতে চাইলেন।

“টারমিনেটর টু।”

সাথে সাথে আরেকটা চড়, প্রায় দ্বিগুন জোরে এসে পড়লো জর্জের গালে।

জর্জের বাবা বিদ্রুপাত্বক হাসি দিয়ে বললেন, “কী? এখনও মিথ্যে বলবে?”

আবারও কাচুমাচু স্বরে জর্জ বললো, “ইয়ে মানে ছবিটার নাম… নাইট কুইন।”

জর্জের বাবা এবার রেগে গেলেন। বললেন, “তোমার লজ্জা হওয়া উচিত। তোমার বয়সে আমি কখনও স্কুল ফাকি দিয়ে সিনেকা দেখতে যাইনি, তাও আবার এধরনের ছবি…।”

ঠাস্, ঠাস্! জর্জ দেখলো ওর বাবার গালে পর পর দুইটা চড় কষে দিল রোবটটা।

ওরা দুজনেই যখন গালে হাত বোলাচ্ছে তখন রান্না ঘর থেকে ছুটে বের হয়ে এলেন জর্জের মা। “এ সব কি হচ্ছে?” জর্জের বাবার দিকে তাকিয়ে চেচিয়ে বললেন তিনি। “একদিন সিনেমার দেখার জন্য এতগুলো চড় মারতে হবে? একটুও দয়া-মায়া নেই? শতহোক তোমারইতো ছেলে….” বাক্যটা শেষ হবার আগেই ঠাস্ করে চারগুন জোরে একটা শব্দ হলো। জর্জ এবং ওর বাবা অবাক হয়ে দেখলো জর্জের মা নিজের ডান গালে হাত বোলাচ্ছেন।

ওগো থামো... আর না

এক ফরাসী, এক ইতালীয় আর এক বাঙালি ট্রেনে বসে নিজেদের বিবাহিত জীবন নিয়ে গল্প করছে।

ফরাসী বলছে, 'গত রাতে আমার বউকে চারবার আদরসোহাগ করেছি। সকালে সে আমাকে চমৎকার নাস্তা বানিয়ে খাইয়েছে, আর বলেছে, আমার মতো পুরুষ সে আগে কখনো দেখেনি।'

ইতালীয় বলছে, 'গত রাতে আমার বউকে ছয়বার আদরসোহাগ করেছি। সকালে সে আমাকে চমৎকার নাস্তা বানিয়ে খাইয়েছে, আর বলেছে, আমার মতো পুরুষ সে আগে কখনো দেখেনি।'

বাঙালি চুপ করে আছে দেখে ফরাসী তাকে প্রশ্ন করলো, 'তা তুমি গত রাতে তোমার বউকে ক'বার আদরসোহাগ করেছো?

বাঙালি বললো, 'একবার।'

ইতালীয় মুচকি হেসে বললো, 'তোমার বউ সকালে তোমাকে কী বললো?'

'ওগো, থামো, আর না ...।'

যেমন ছিল তেমন করে দেই

দুই কালসিটে বসা চোখ নিয়ে ফিরলো জুমন।

রুমমেট সুমন বললো, 'কী রে, কী হয়েছে?'

জুমন বললো, 'আর বলিস না। বাসে বসেছিলাম, এক মহিলা দাঁড়িয়ে যাচ্ছিলো। তো, হয়েছে কি, মহিলার শাড়িটা পেছনে এমন বিচ্ছিরি ভাবে এঁটেছিলো, ঠিকমতো দাঁড়াতে পারছিলেন না। আমি ভাবলাম, ওজায়গায় শাড়িটা আঙুল দিয়ে এক চিমটি টেনে একটু ঢিলে করে দিই, ওনার সুবিধে হবে। ঐ কাজ করতেই মহিলা পেছন ফিরে এক ঘুঁষি মারলো আমার বাম চোখের ওপর।'

'আয় হায়। আর ডান চোখে কী হয়েছে?'

'মার খেয়ে আমি ভাবলাম, যেমন ছিলো তেমনটাই করে দিই। তাই আঙুল দিয়ে খুঁচিয়ে আবার ওটা আগের মতো আঁটো করে দিলাম ...।'

ঘোড়ায় চড়া

এক ফরাসি তরুণী হারিয়ে গেছে।

ঘোড়ায় চড়ে এক রেড ইন্ডিয়ান এসে তাকে প্রস্তাব দিলো কাছের শহরে পৌঁছে দেয়ার।

রাজি হয়ে তরুণী তার ঘোড়ার পেছনে চড়ে বসলো। ঘোড়া ছুটতে লাগলো।

কিন্তু কোন এক বিচিত্র কারণে একটু পরপর রেড ইন্ডিয়ান লোকটি "আআআআআহহ" করে বিকট চিৎকার দিতে লাগলো।

শহরে পৌঁছে বাস স্টেশনের সামনে লোকটি নামিয়ে দিলো তরুণীকে, তারপর আরেকটা বিকট ইয়াহু চিৎকার দিয়ে উল্টোপথে ছুটে গেলো।

বাস স্টেশনের অ্যাটেন্ড্যান্ট বললো, 'কী ব্যাপার, কী করেছেন আপনি, লোকটা অমন ক্ষেপে গেলো কেন?'

ঘাবড়ে গিয়ে তরুণী বললো, 'কিছুই না। আমি তো ওর পেছনে ঘোড়ায় চড়ে বসেছিলাম, আর ওর হাত বাড়িয়ে ওর স্যাডলের সামনের দিকে হ্যান্ডেলটা শক্ত করে চেপে ধরে রেখেছিলাম শুধু।'

অ্যাটেন্ড্যান্ট বললো, 'মিস, রেড ইন্ডিয়ানদের ঘোড়ায় স্যাডল থাকে না।'

ভুতে বিশ্বাস

টিনা বেড়াতে গেছে এক নির্জন কেল্লায়।

একটা ঘরে ঢুকে সে দেখলো, একটা পুরনো চেরাগের পাশে এক পাগড়ি পরা যুবক দাঁড়িয়ে।

'স্বাগতম, আমার আকা।' বললো যুবক। 'আমি এই চেরাগের জ্বিন। আপনার তিনটি ইচ্ছা আমি পূরণ করতে চাই।'

টিনা এক নিঃশ্বাসে বললো, 'কোটি কোটি টাকা, দশটা বাড়ি, বিশটা গাড়ি।'

জ্বিন বললো, 'জো হুকুম। আপনি বাড়ি ফিরেই আপনার টাকা, বাড়ির দলিল আর গাড়ির লাইসেন্স তৈরি পাবেন। কিন্তু আমার আকা, আমি দীর্ঘদিন এই চেরাগে একা বন্দি ছিলাম। আপনি যদি কিছু মনে না করেন, আমি ইচ্ছাপূরণের আগে আপনার সাথে কয়েকবার আদরসোহাগ করতে চাই।'

টিনা সানন্দে রাজি হলো। পরদিন ভোরে জ্বিন বললো, 'আমার আকা, আপনার বয়স কত?'

'সাতাশ।' জবাব দিলো টিনা।

'এই বয়সেও আপনি জ্বিনভূত বিশ্বাস করেন?'
একজন ফাদার চার্চের জন্য কিছু টাকা তুলতে চান। তিনি বিশপকে জিজ্ঞেস করলেন, কিভাবে কিছু টাকা আয় করা যায় বলুন ত! চার্চে কিছু সংস্কার কাজ করা হবে। কিন্তু ফান্ডে যথেষ্ট টাকা নাই।

বিশপ বুদ্ধি দিলেন, শহরে ঘোড়ার রেস হয় প্রতি সপ্তাহে। একটা ঘোড়া কিনে সেখানে অংশ নাও।

পরের সপ্তাহেই ফাদার গেলেন ঘোড়া কিনতে। কিন্তু ঘোড়ার দাম শুনে তার চক্ষু চড়ক গাছে। বেচারা আর কিছু কিনতে না পেরে একটা গাধা কিনে নিয়ে চলে এলেন।

শহরে এসে ভাবলেন, কিনছি যখন গাধা, সেটাকেই রেসে লাগাই। কি আর এমন হবে যদি হেরে যাই।

রেসের ময়দানের সবাইকে অবাক করে দিয়ে গাধাটা ঘোড়ার রেসেই তৃতীয় হয়ে বসল। শহর জুড়ে গাধার প্রশংসা আর তার কীর্তির আলাপ হচ্ছে। পত্রিকাগুলাও পরদিন ফলাও করে খবর ছাপাল, Father'S ASS SHOWS!!!

ফাদার গাধাটাকে খুব ভালো ভালো খাবার দেয়া শুরু করলেন। পরের সপ্তাহেও রেসে অংশ নিলেন গাধা নিয়েই। এইবার তার গাধা রেসের প্রথমেই। পরদিন বিশাল ছবি সহ সংবাদপত্রের শিরোনাম- FATHER'S ASS OUT IN FRONT!!!

ফাদার আগ্রহ নিয়ে বিশপের সাথে দেখা করতে গেলেন। ফান্ডে বেশ ভালো টাকা জমা হচ্ছে গাধাটার কারনে। এদিকে গাধাটা আবার শহরের হিরো হয়ে গেছে। কিন্তু বিশপ পেপারের হেড লাইনগুলো পছন্দই করেন নাই। তিনি ফাদারকে হুকুম দিলেন, বদমাশ গাধাকে আর রেসে দিবেন না। ফাদার তাই করলেন।রেসে কভার করতে আসা সাংবাদিকেরা জিজ্ঞেস করল গাধাটা রেসে নাই কেনো? সহজ-সরল ফাদার বলে দিলেন বিশপের নির্দেশেই এই কাজ করা হয়েছে। রেসিং ডে এর পরের দিন পেপারে আসল- BISHOP SCRATCHES FATHER'S ASS


বিশপ ত এইবার পুরা ক্ষেপা। তার কড়া নির্দেশ এলো ফাদারের কাছে। গাধাকে সরাও। ফাদার আর কি করবেন? এত শখের গাধা তার। কাছের এক সন্ন্যাসী আশ্রমে তার পরিচিত এক নান থাকেন। তিনি গাধাটা নানকে দিয়ে দিলেন। পরের দিনে পেপারে আসল, NUN HAS BEST ASS IN TOWN!!! এইবার পেপারের হেডিং দেখে বিশপ ফিট হয়ে পড়ে গেলেন। জ্ঞান ফিরে আসার পর নানকে খবর পাঠালেন, দয়া করে গাধাটা বিক্রি করে দেন।

নান তাই করলেন। নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করে দিলেন গাধাটা। পেপারে খবর চলে আসল, NUN SELLS ASS FOR 1000 Taka.

বিশপের মাথা এইবার আউলিয়ে গেছে। পেপারগুলা যা শুরু করছে!!!! গাধাটার হাত থেকে যেভাবেই হোক মুক্তি পেতে হবে। তিনি নানকে নির্দেশ দিলেন, আপনি গাধাটা আবার কিনে নেন। এরপর সেটাকে জঙ্গলে ছেড়ে দেন। এরসাথে আমাদের চার্চের যেন কোনরূপ সম্পর্ক না থাকে। নান গাধাটা কিনে ফেরত নিলেন। তারপর বনে নিয়ে ছেড়ে দিলেন। সংবাদ সম্মেলন করে জানালেন, আমার গাধাটার সাথে চার্চের কোনরূপ সম্পর্ক আর নাই। সেটাকে মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। কেউই আর গাধাটার মালিক নয়। পরেরদিন পেপারের হেডিং- NUN ANNOUNCES HER ASS IS WILD AND FREE.
সেইদিন সকালে হার্ট এটাকে বিশপ মারা গেলেন।